• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সিনেটে বাজেট বিল পাসে ব্যর্থ, অচল যুক্তরাষ্ট্র


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জানুয়ারি ২১, ২০১৮, ১১:৪৯ এএম
সিনেটে বাজেট বিল পাসে ব্যর্থ, অচল যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে সরকারের বাজেট বাড়ানো নিয়ে উত্থাপিত একটি বিল পাস না হওয়ায় দেশটির সরকারি কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারের বাজেট বাড়ানো নিয়ে প্রস্তাবিত ওই বিল সিনেটে প্রয়োজনীয় ৬০ ভোট পায়নি। এর ফলে জরুরি ভিত্তিতে ১০ লাখ সরকারি কর্মীকে অবৈতনিক ছুটিতে যেতে হবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ অনেক দফতরও বন্ধ হয়ে যাবে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

তবে জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ চলবে, যার মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা, ডাক, বিমান ওঠা-নামার কাজ, হাসপাতালে জরুরি বিভাগ ও রোগীদের সেবা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কারাগার, কর বিভাগ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন অন্যতম।

কর্মীদের মধ্যে কারা কারা ছুটিতে যাচ্ছেন তা দু-একদিনের মধ্যে জানা যেতে পারে। ২৬ জানুয়ারি থেকে ছুটিতে যাওয়ার আগে এ সপ্তাহেই তারা শেষবারের মতো বেতন পাবেন। এর আগে এ ধরনের ঘটনায় কর্মীদের সামান্য ভর্তুকি দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছিল কংগ্রেস। ট্রাম্প প্রশাসনও একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম হোয়াইট হাউজ ও কংগ্রেস একই দলের নিয়ন্ত্রণে থাকার পরও সরকারের বাজেট বাড়ানোর বিল অনুমোদন পেতে ব্যর্থ হলো। এর আগে ২০১৩ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে সিনেটরদের মতবিরোধে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তহবিল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং ১৬ দিন পর্যন্ত ওই অচলাবস্থা চলেছিল।

২০১৩-এর অচলাবস্থায় কী ঘটেছিল তার একটি তুলনা টেনে এবারো কোন দফতরের কী কী ক্ষতি হতে পারে তার একটি ধারণা দিয়েছে রয়টার্স।  

সামরিক বাহিনী : সরকারের অচলাবস্থার কারণে আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়ায় জঙ্গিবরোধী লড়াই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে স্থানীয় সময় গত শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। তবে কম প্রয়োজনীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত বেসামরিকদের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হতে পারে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস বলেছেন, তহবিল আটকে গেলে রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়াই যুদ্ধজাহাজগুলো চালাতে হবে, বন্ধ থাকবে সামরিক বিমানের উড্ডয়নও।

বিচার বিভাগ : মার্কিন বিচার বিভাগের বেশিরভাগ কর্মীই প্রয়োজনীয়। সরকারি অচলাবস্থা শুরু হলে বিভাগটির এক লাখ ১৫ হাজার কর্মীর মধ্যে ৯৫ হাজার কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

আর্থিক নজরদারি : এর আগে সরকারি অচলাবস্থা চলার সময়ও তারা সাময়িকভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়েছিল। তবে মার্কিন কংগ্রেস যদি কয়েক সপ্তাহের মধ্যেও অচলাবস্থা নিরসন করতে না পারে তাহলে এর কর্মীদের বাধ্যতামূলক অবৈতনিক ছুটিতে যেতে হবে।

হোয়াইট হাউস : হোয়াইট হাউসের এক হাজার ৭১৫ কর্মীর মধ্যে এক হাজারেরও বেশি কর্মীকে ছুটিতে যেতে হবে। তেমনটা হলে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন এবং সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্ধারিত সফরের সময় তাকে অতিরিক্ত কর্মীসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া লাগতে পারে বলে প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

ট্যাক্স :  ২০১৩ সালে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগের ৯০ শতাংশ কর্মীকেই বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল বলে লিবারাল সেন্টার ফর আমেরিকান প্রগ্রেস জানিয়েছে।

আদালত : অতিরিক্ত অর্থ না পেলেও সুপ্রিম কোর্টসহ কেন্দ্রীয় আদালতের তিন সপ্তাহ পর্যন্ত কার্যক্রম চালাতে সমস্যা হবে না বলে ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

স্বাস্থ্যসেবা : ২০১৩ সালে কয়েকশ’ রোগী ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ভর্তি হতে ব্যর্থ হয়েছিল। সেবার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেলেও এবার তা হবে না বলে ধারণা প্রশাসনের।

শিশু : পাঁচ বছর আগের অচলাবস্থায় আলাবামা, কানেকটিকাট, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, মিসিসিপি ও সাউথ ক্যারোলাইনার ছয় হাজার তিনশ শিশুর জন্য চালানো একটি কর্মসূচি নয় দিন বন্ধ ছিল।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!