• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
গাড়িচালকসহ গ্রেপ্তার ৩

সিন্দুকের টাকার লোভেই অধ্যাপককে হত্যা


বিশেষ প্রতিনিধি অক্টোবর ১৮, ২০১৬, ০৬:১৮ পিএম
সিন্দুকের টাকার লোভেই অধ্যাপককে হত্যা

ঢাকা: ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যাপক আলী হোসেন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উম্মোচনের দাবি করেছে র‌্যাব। হত্যাকাণ্ডে জড়িত গাড়িচালক মাসুদ মালি­কসহ (৩৮) তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) র‌্যাব-৪ এর র্কাযালয়ে এক সংবাদ সম্মলেনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৪ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) খন্দকার লুৎফুল কবির।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক বলেন, অর্থের লোভেই ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যাপক আলী হোসেনকে (৬৮) হত্যা করা হয়। ওই বাড়ীর অফিস কক্ষের সিন্দুকে রাখা ১৯ লাখ টাকা রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতেই সাবেক অধ্যাপককে হত্যার পরকিল্পনা করে গাড়ী চালক মাসুদ।

অধ্যাপক আলী হোসেনকে হত্যার পর অফিস কক্ষে থাকা সিন্দুকের তালা খুলে সেখান থেকে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে ভোরে তিনজন বাসা থেকে পালিয়ে যায়।

এ কাজটি করার জন্য প্রথমে অধ্যাপকের গাড়ী চালক মাসুদ মলি­ক ওই বাড়ির দারোয়ানকে কোকের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাকে অজ্ঞান করে । এরপর মাসুদ নির্মাণাধীন ভবনের চার তলার অফিস কক্ষে প্রবেশ করে অধ্যাপককে হাত পা বেঁধে ফেলে। পরে সঙ্গে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে হত্যা করে। তাকে এ হত্যায় সহযোগিতা করে নির্মাণাধীন ওই ভবন র্কমচারী সায়েদ ফকির ওরফে সাইফুল ও তার চাচাতো ভাই সুজন।

এর আগে সোমবার (১৭ অক্টোবর) বরিশালের গৌরনদী থানাধীন মাগুরা গ্রামে অভিযান চালিয়ে সাইফুল ও সুজনকে আটক করে র‌্যাব-৪ এর একটি টিম। তাদের কাছ থেকে চুরি করা অর্থের এক লাখ ২৭ হাজার ৮৩২ টাকা ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে একই দিনে রাতে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকার ইসিবি চত্বর এলাকা থেকে এ হত্যাকান্ডের মূলহোতা মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়।

সংবাদ সম্মলেনে র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক বলেন, হত্যাকান্ডের মূলহোতা মাসুদ প্রায় এক বছর ধরে নিহত অধ্যাপকের গাড়ি চালাতেন। অধ্যাপক আলী হোসেন সৈয়দ গ্র“প অব কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিভিন্ন সময় কন্সট্রাকশনের কাজের জন্য ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে অফিসে রাখতেন। গাড়ি চালক মাসুদ এসব খবর জানতেন। হত্যার কিছুদিন আগে তিনি এক সঙ্গে ১৯ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করনে। আর এ টাকা আত্মসাতের জন্য গাড়ি চালক মাসুদ পরিকল্পনা করছিল।

তিনি আরও বলনে, মাসুদ প্রায় সময় এসব বিষয়ে ভবনের র্কমচারী সাইফুলের সঙ্গে আলোচনা করতেন। হত্যার কিছুদিন আগে সাইফুলের চাচাতো ভাই সুজন আসে। পরে তিন জন মিলে  এ হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা করে। এ হত্যাকান্ডের নেতৃত্ব দেন মাসুদ।

গত ১১ অক্টোবর রাজধানীর ভাষানটেক থানার ডিওএইচএস এর একটি বাসা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অধ্যাপক আলী হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!