• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সিপিডি বাজেটকে চমকহীন বললেও ভারসাম্যমূলক বলছে বিআইডিএস


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ৮, ২০১৮, ০৩:২৩ পিএম
সিপিডি বাজেটকে চমকহীন বললেও ভারসাম্যমূলক বলছে বিআইডিএস

ঢাকা : আসন্ন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিশিষ্টজনেরা। কেউ বলছেন বাজেট চমকহীন, পুরনো চিন্তার মধ্যেই বাজেট প্রস্তাব। আবার কেউ বলছেন, যে বাজেট দেওয়া হচ্ছে এর বস্তাবায়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কেউ আবার একে ভারসাম্যমূলক বাজেট হিসেবেও অভিহিত করেছেন।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার (৭ জুন) তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বাজেটে নতুন কোনো চমক নেই। চলতি অর্থবছর যা ছিল আগামী অর্থবছরেও তাই রয়েছে। তাই এক কথায় এ বাজেটকে স্থিতাবস্থার বাজেট বলে অবিহিত করে তিনি বলেন, পুরনো কাঠামো ও পুরনো চিন্তার মধ্যেই বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আগামী অর্থবছরের বাজেটে করপোরেট কর কমানো হয়েছে। এক্ষেত্রে মালিকপক্ষেরই বেশি লাভ হবে। কেন এ কর কমানো হয়েছে তার পেছনে যৌক্তিক ও প্রশাসনিক কোনো কারণ দেখছি না। ব্যাংকিং খাতে নৈরাজ্যের মধ্যে এ ধরনের করপোরেট কর ছাড় দেওয়া ঠিক হয়নি।’

তিনি আরো বলেন, ঘোষিত বাজেটকে দেখে মনে হচ্ছে সঞ্চয়পত্রের দিকে ঝুঁকতে হবে। সিপিডির দীর্ঘদিনের দাবি ছিল চাল আমদানি ওপর শুল্ক কমানো হবে, এবার এটা বাজেটে কমানো হয়েছে। সিপিডি খুশি হয়েছে। কৃষক এতে লাভবান হবে, যোগ করেন এই বিশেষজ্ঞ।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মীর্জ্জা আজিজুল ইসলাম তার বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেন, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ এ বাজেট বাস্তবায়নে প্রশাসনিক দক্ষতা, দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন এবং যুবশক্তির কর্মসংস্থানকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন।

তিনি বলেন, যে বাজেট দেওয়া হচ্ছে, এর বস্তাবায়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। প্রতিবার এমন বাড়তি বা বড় আকারের বাজেট দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে তা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না। এবারো তাই হবে বলে মনে হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বাজেট লক্ষ্যমাত্রার জন্য প্রশাসনিক যে দক্ষতা প্রয়োজন তা আমাদের নেই। যেখনে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে।

এদিকে সরকারের এবারের প্রস্তাবিত বাজেটকে নির্বাচনের বছরে ভারসাম্যমূলক বাজেট বলে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ।

ড. নাজনীন বলেন, নির্বাচনের বছরে এরকম বাজেটই কাম্য। শিল্পায়নের ক্ষেত্রে শুল্কহার কমানো হয়েছে, এটি অনেক ইতিবাচক দিক। তবে বিনোয়োগের ক্ষেত্রে আর একটু ছাড় দিলে ভালো হতো। সব মিলিয়ে এটি একটি ভারসাম্যমূলক বাজেট।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রীর জেন্ডার বৈষম্যের ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতির কথা প্রসঙ্গে ড. নাজনীন বলেন, জেন্ডার বৈষম্য একটি বৈশ্বিক বিষয়। শুধু বাংলাদেশের প্রসঙ্গ বলে লাভ নেই। সারা বিশ্বেই এখন নারী নেতৃত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে জেন্ডার বৈষম্য কমে আসছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!