• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সিরিজ হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইয়াসিরের ৬ উইকেট


ক্রীড়া প্রতিবেদক অক্টোবর ২৫, ২০১৬, ০৭:১৩ পিএম
সিরিজ হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইয়াসিরের ৬ উইকেট

ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে আবুধাবি টেস্টও হারতে চলেছে সেটা বোঝা গিয়েছিল টেস্টের প্রথম দিন থেকেই। ৪৫৬ রানের অসম্ভব এক লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ক্যারিবিয়রা অলআউট হয়ে গেছে ৩২২ রানে। ১৩৩ রানে হেরে তিন টেস্টের সিরিজ এক টেস্ট হাতে রেখেই ২-০ ব্যবধানে জিতে নিল পাকিস্তান।

টেস্টের পঞ্চম দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ছিল ২৮৫ রান, হাতে ছিল ৬ উইকেট। বোঝাই যাচ্ছিল, এই টেস্ট জেতা পাকিস্তানের সময়ের ব্যাপার। হলোও তাই। যা একটু লড়াই করার চেষ্টা করেছেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড এবং শাই হোপ। দু’জনে মিলে ষষ্ঠ উইকেটে যোগ করেছেন ৫৭ রান।

দূর্ভাগ্য ব্ল্যাকউডের যে মাত্র পাঁচ রানের জন্য তাকে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে। ইয়াসির শাহ’র বলে বোল্ড হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৯৫ রান। ১২৭ বলে ১১ চারের সাহায্যে ব্ল্যাকউড এই রান করেন। মধ্যাহ্নবিরতির আগে পঞ্চম উইকেটটিও পেয়ে গেলেন ইয়াসির। এবার তার শিকারে পরিণত হন ক্যারিবিয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডার (১৬)।

এরপর লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েও কুলাতে পারেননি দেবেন্দ্র বিশু আর হোপ। দু’জনে মিলে অষ্টম উইকেটে তোলেন ৪৫ রান। কিন্তু জুলফিকার বাবরের বলে হোপের (৪১) বিদায়ের পরপরই ভেঙে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং। মাত্র ১১ রানের মধ্যেই চলে যায় বাকি ৩ উইকেট। ১২৪ রানে ৬ উইকেট তুলে নেন ইয়াসির। এটি তার ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মত ১০ উইকেট পাওয়ার ঘটনা। স্বভাবতই ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে ইয়াসিরের হাতে। ৫১ রানে দুই উইকেট পেয়েছেন জুলফিকার বাবর।

pak

পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ৪৫২ রান। ক্যারিয়ারে ৩৩ তম সেঞ্চুরির দেখা পান ইউনিস খান। আর ৯৬ রান করে নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হন অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক। শ্যান গ্যাবরিয়েল ৯৬ রানে পাঁচ উইকেট তুলে নেন। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের প্রথম ইনিংস শেষ করে ২২৪ রানে। সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন ড্যারেন ব্রাভো। ৮৬ রানে ইয়াসির শাহ চারটি, রাহাত আলী ৪৫ রানের বিনিময়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ২  উইকেটে ২২৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। সর্বোচ্চ ৭৯ রান করেছিলেন আজহার আলী।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!