• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সিরিজে সমতার লক্ষ্যে আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশ


ক্রীড়া প্রতিবেদক অক্টোবর ৯, ২০১৬, ১০:০২ এএম
সিরিজে সমতার লক্ষ্যে আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশ

সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিজেদের জন্য জয়ের মঞ্চ তৈরি করেও, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডকে সেই মঞ্চে জয়োল্লাসের সুযোগ করে দেয় বাংলাদেশ। তাই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এখন ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে টাইগাররা। সিরিজে টিকে থাকতে হলে দ্বিতীয় ম্যাচে জয় ছাড়া কোন বিকল্প পথ খোলা নেই বাংলাদেশের সামনে। এজন্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে সমতা আনার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামছে মাশরাফিবাহিনী। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেটি শুরু দুপুর আড়াইটায়।

সিরিজে ফেভারিটের তকমাটা নিতে চায়নি বাংলাদেশ। কিন্তু নিজেদের কন্ডিশনে প্রথম ওয়ানডের শুরুতেই ইংল্যান্ডকে ধাক্কা দিয়েছিলো টাইগার বোলাররা। কিন্তু পরবর্তীতে ফিল্ডারদের বড় বড় ভুলে বড় স্কোর গড়ে বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দেয় ইংল্যান্ড। ক্যাচ ছাড়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মোশাররফ রুবেলরা।

তবে ইংল্যান্ডের ৩১০ রানের টার্গেট সহজ করে দেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। সাথে ছিলেন সাকিব। ইমরুলের ১১২ ও সাকিবের ৭৯ রানে শেষদিকে এসে বাংলাদেশের প্রয়োজন পড়ে ৫২ বলে ৩৯ রান। কিন্তু ২৭১ থেকে ২৮৮ রানের মধ্যে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে কষ্টের হার বরণ করে নেয় বাংলাদেশ। জয়ের মঞ্চ তৈরি করেও এভাবে ম্যাচ হারটা মোটেও কাম্য ছিলো না বাংলাদেশের।

তাই তো গতকাল ম্যাচ শেষে হতাশাই ঝড়েছে মাশরাফির কন্ঠে, ‘ম্যাচটা আমাদের জেতা উচিত ছিলো। এভাবে হারাটা হতাশার।’ হতাশ থাকলেও, ঘুড়ে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত কিন্তু ঠিকই দিয়েছেন ম্যাশ, ‘এমন হারের জন্য দোষ দিয়ে লাভ নেই। এখান থেকে ঘুড়ে দাঁড়াতে হবে।’

হ্যাঁ, বাংলাদেশকে ঘুড়ে দাঁড়াতে হবে। আর সেই মন্ত্র তো মাশরাফির দলের জানা আছেই। টানা ছয় সিরিজ জয়ের পথে দক্ষিণ আফ্রিকার মত বড় দলের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিলো বাংলাদেশ। সেখান থেকে পরবর্তীতে দুর্দান্তভাবে ফিরে এসেছিলো টাইগাররা। ফিরে এসে সিরিজও জিতেছিলো মাশরাফির দল। অবশ্য এখন সিরিজ জয় নিয়ে ভাবনা কম বাংলাদেশের। সিরিজে ফিরতেই মরিয়া তারা।

তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হেরে সিরিজে সমতা আনার রেকর্ড কিন্তু বাংলাদেশের আছে। ২০১০ সালের সফরে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরেছিলো বাংলাদেশ। এরপর ব্রিস্টলে দ্বিতীয় ম্যাচেই ৫ রানের জয় দিয়ে সিরিজের সমতা আনে টাইগাররা। তাই ঐ স্মৃতি থেকে সাহস বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ আছে মাশরাফি-ইমরুল-সাব্বিরদের।

সিরিজের শুরুটা দুর্দান্ত চেয়েছিলো ইংল্যান্ড। দুর্দান্ত হয়নি, তবে এমন জয়ে বেশ খুশীই ইংল্যান্ড। কারণ এক পর্যায়ে ম্যাচ হারের ঢেকুঁড় তোলার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলো ইংলিশরা। কিন্তু সেটি আর করতে হয়নি সফরকারীদের। তাই এই জয়ে আত্মবিশ্বাস অনেক খানি বেড়ে গেছে ইংল্যান্ডের তা কিন্তু প্রথম ম্যাচ শেষে স্বীকার করেন সফরকারী দলের অধিনায়ক জশ বাটলার, ‘আমরা যেভাবে খেলেছি তা দেখে দলের সবাই আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে। এই কন্ডিশনে দারুণ খেলেছি আমরা। এটাই সবচেয়ে বেশি আনন্দের।’

এমন জয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়াটাই স্বাভাবিক। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ যে প্রতিপক্ষকে ছেড়ে দেবে না তা কিন্তু স্পষ্ট। ফলে মিরপুরের ভেন্যুতেই জয় দিয়ে সমতা নিয়ে চট্টগ্রামে সিরিজ জয়ের উল্লাস মাতবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল, এমনটাই প্রত্যাশা ক্রিকেটপ্রেমিদের।

বাংলাদেশ স্কোয়াড : মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, নাসির হোসেন, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), সাব্বির রহমান, শফিউল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন রুবেল, আল আমিন হোসেন ও তাসকিন আহমেদ।

ইংল্যান্ড স্কোয়াড : জশ বাটলার (অধিনায়ক), মঈন আলী, জনি বেয়ারস্টো (উইকেটরক্ষক), জেক বল, স্যাম বিলিংস, লিয়াম ডসন, বেন ডাকেট, স্টিভেন ফিন, লিয়াম প্লানকেট, আদিল রশিদ, জেসন রয়, বেন স্টোকস, জেমস ভিন্স, ডেভিড উইলি ও ক্রিস ওয়াকস।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!