• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিরিয়ায় হামলা: তোপের মুখে মে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক এপ্রিল ১৫, ২০১৮, ০৭:১৪ পিএম
সিরিয়ায় হামলা: তোপের মুখে মে

ঢাকা: সিরিয়ায় হামলা চালানোয় দেশের ভেতর বিরোধীদের ব্যাপক তোপের মুখে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। শনিবার (১৪ এপ্রিল) রাতে দেশটির পার্লামেন্টের অনুমতি ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সের সঙ্গে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রাগার লক্ষ্য করে একযোগে চালানো হামলায় অংশ নেয় ব্রিটেন।

বিট্রিশ সেনাবাহিনীকে সিরিয়া হামলায় অংশ নেয়ার নির্দেশ দেয়ায় সংসদ সদস্যদের তীব্র ক্ষোভের মুখোমুখি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মে।

সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের হোমস থেকে ১৫ মাইল দূরে একটি সেনাঘাঁটিতে আরএএফ টর্নেডো জিআর৪ যুদ্ধবিমান মোতায়েনের কয়েক ঘণ্টা পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে একটি বিবৃতি দেন। ব্রিটেনের দাবি, সিরিয়ার ওই অঞ্চলে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের রাসায়নিক অস্ত্রাগার রয়েছে।

বিবৃতিতে থেরেসা মে বলেন, ব্রিটেন মানবিক কারণে সিরিয়া হামলায় অংশ নিয়েছে। ডাউনিং স্ট্রিটে রাত ২টার দিকে সামরিক উপদেষ্টা থেরেসা মে'কে হামলার ব্যাপারে হালনাগাদ তথ্য অবগত করেন। এসময় থেরেসা মে বলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে, তারা এই অভিযানে সফল হবেন।

ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন মে। এসময় তারা সিরিয়া হামলায় সফল হয়েছেন বলে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন।

এদিকে সিরিয়া হামলায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সফলতা দাবি করলেও দেশের ভেতরে বিরোধী দলীয় ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছেন তিনি। লেবার দলীয় নেতা জেরেমি করবিন অভিযোগ করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টের অনুমোদন নেয়ার পরিবর্তে ট্রাম্পকে অনুস্মরণ করেছেন।

তিনি আরো বলেন, ‘বোমা নিক্ষেপ কখনোই কারো জীবন বাঁচাতে অথবা শান্তি বয়ে আনতে পারে না। বরং এ ধরণের হামলা পরবর্তীতে আরো উত্তেজনা ছড়িয়ে দিতে পারে।

তবে লেবার দলীয় অনেক সংসদ সদস্য মনে করেন এই হামলায় অংশ নেয়াটা ছিল যৌক্তিক। কিন্তু তাদের প্রশ্ন, কেন প্রধানমন্ত্রী সোমবার (১৬ এপ্রিল) পার্লামেন্টের অধিবেশন না বসা পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন না।

জন উডকক নামে রেভার দলীয় আরেক এমপি বলেছেন, এটা ঠিক যে সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট আসাদের রাসায়নিক অস্ত্রাগার ধ্বংস করার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য আমাদের মিত্রদের সঙ্গে অভিযানে যোগ দিয়েছে। তার পরেও থেরেসা মে’কে পার্লামেন্টে অবশ্যই ব্যাখ্যা করতে হবে যে, কি কারণে সিরীয় অভিযানে অংশ নেয়ার জন্য পার্লামেন্টে ভোটাভুটির দরকার নেই।

দেশটির গ্রিন পার্টির দুই নেতা ক্যারোলিন লুকাস ও জোনাথন বার্টলি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে সংসদীয় গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছেন। সোমবার (১৬ এপ্রিল) পার্লামেন্টে ভোটাভুটি আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

এদিকে সিরিয়ার হামলায় চালানোর জন্য স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা সার্জিওন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টে ঘোড় দৌড়ে অংশ নেয়ার আগে আমাদের হাউস অব কমন্সের অনুমোদন নেয়ার বিকল্প ছিল না।

অন্যদিকে, সিরিয়ায় ইঙ্গ-মার্কিন-ফরাসী জোটের ১২ ঘণ্টার ঝটিকা অভিযান শেষ হলেও রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার হলে আবারও সিরিয়ায় আবারো একই ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন থেরেসা মে। তবে ফের যদি তিনি সিরিয়ায় অভিযানে অংশ নেন তাহলে পার্লামেন্টের অনুমোদন নেয়া হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলছে, সোমবার (১৬ এপ্রিল) পার্লামেন্টের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এসময় তিনি এমপিদের প্রশ্নের জবাব দেবেন। সূত্র দ্য গার্ডিয়ান

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!