• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সিরিয়ায় হামলা নিয়ে চুল টানাটানিতে যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র


আন্তর্জাতিক ডেস্ক এপ্রিল ৬, ২০১৭, ০৭:২৭ পিএম
সিরিয়ায় হামলা নিয়ে চুল টানাটানিতে যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকা: সিরিয়ায় হামলা চালানোর বিরুদ্ধে বরাবরই অবস্থান নিয়েছে জাতিসংঘ ও কয়েকটি দেশ। এর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে প্রাণঘাতী নিষিদ্ধ বিষাক্ত রাসায়নিক হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে চলছে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড়। জাতিসংঘ এই মানবতা বিরোধী হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে অভিহিত করছে।

বিষাক্ত রাসায়নিক হামলায় নিহতদের গণকবরে দাফন করা হচ্ছে। এতগুলো কবর খোঁড়তে সময় ও লোক বেশি লাগবে বলে বিশাল আকারের কবর খুড়ছেন স্থানীয়রা।

অপরদিকে এর জন্য যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একে অপরকে দায়ী করছে। রাশিয়াকে সহযোগিতা করার জন্যই এই হামলা তারা চালাতে পেরেছে বলে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলছে বলে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে রাশিয়া দাবি করছে, বিষাক্ত গ্যাস হামলা তারা চালায়নি। এ ঘটনায় ৫ এপ্রিল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২ হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি। এরই মধ্যে রাসায়নিক হামলা নিয়ে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের আহ্বানে জরুরি সভা করছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।

জাতিসংঘ বলেছে, এই হামলা যারাই চালিয়ে থাকুক, এটি নিশ্চিত যুদ্ধাপরাধ। তবে এই হামলার জন্য সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে কোনো সামরিক অভিযানের কথা নাকচ করে দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। খবর বিবিসি, গার্ডিয়ান ও সিএনএনের।

সিরিয়ার ইদলিবে ৪ এপ্রিল ভোরে ঘুমন্ত মানুষের ওপর বিমান থেকে বিষাক্ত রাসায়নিক হামলা চালায় রাশিয়ার সৈন্য বাহিনী। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, হামলায় এ পর্যন্ত ৭২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছে আরও ৩০০ জন। নিহতদের মধ্যে ২০জন শিশু রয়েছে।

স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাবে।

এই রাসায়নিক হামলাকে 'ভয়াবহ' বলে আখ্যা দিয়েছেন সিরিয়ায় জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্টেফান ডি মিস্তুরা। তিনি বলেন, এই হামলার জন্য দায়ীদের পরিষ্কারভাবে শনাক্ত করে তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। এই হামলার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস 'গভীরভাবে উদ্বিগ্ন' বলেও জানিয়েছেন এই মুখপাত্র। 

গুতেরেস বলেছেন, এটি নিশ্চিতভাবেই একটি যুদ্ধাপরাধ। এ ঘটনাকে 'অনাকাঙ্ক্ষিত গণহত্যা' বলে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। হামলার জন্য সিরিয়ার সরকারকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য বিশ্বশক্তি। 

হামলার প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সিরীয় সরকারের এই হামলা খুবই নিন্দনীয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই হামলার জন্য মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে সাবেক ওবামা প্রশাসনের দুর্বলতাকে দায়ী করেছেন। জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত ম্যাথিউ রাইক্রফট এই হামলাকে 'সিরিয়ার শান্তির জন্য অত্যন্ত খারাপ খবর' বলে মন্তব্য করেন। নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এটি পরিষ্কারভাবে একটি যুদ্ধাপরাধ। আমি নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের ডাকছি, যারা এর আগে সমর্থনের অযোগ্যদের রক্ষা করতে ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করেছিলেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা 

Wordbridge School
Link copied!