• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সু চিকে দেয়া আন্তর্জাতিক পুরস্কার বাতিল শুরু


আন্তর্জাতিক ডেস্ক সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭, ০৪:৩৬ পিএম
সু চিকে দেয়া আন্তর্জাতিক পুরস্কার বাতিল শুরু

ঢাকা: মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা চালানোর প্রতিবাদে সু চিকে দেয়া আন্তর্জাতিক পুরস্কারগুলো প্রত্যাহর শুরু হয়েছে। শান্তির জন্য দেয়া নোবেল পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কার কেড়ে নেয়ার দাবিতে বিশ্বে জনমত গড়ে উঠছে।

এমন দাবির প্রেক্ষিতে প্রথম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ইউনিসন নামে ব্রিটেনের অন্যতম বৃহৎ ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন। মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতনের ঘটনা এবং অকার্যকর ভূমিকায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার মুখে পড়ার মধ্যেই এমন ঘোষণা এল।

গণতন্ত্রের দাবিতে মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী সু চি যখন কারাগারে ছিলের তখন এ পুরস্কার দেয়া হয় তাকে। এমন এক সময় এই ঘোষণা এল যখন কিনা বেশকিছু ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান ঘোষণা দিয়েছে যে গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনের সময় সু চি’কে দেয়া পুরস্কার ও সম্মান পুনর্বিবেচনার কথা ভাবছে তারা।

দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন-ইউনিসন সু চি’কে দেয়া সম্মানসূচক সদস্যপদ স্থগিত করার কথা জানিয়ে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের দুর্দশা লাঘবে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে অনুরোধ করেছে।

ইউনিসনের সভাপতি মার্গারেট ম্যা’কি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ানকে বলেন, রোহিঙ্গারা যে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে সেটি আতঙ্কজনক। এ প্রেক্ষিতে আমরা অং সান সু চি’র সদস্যপদ স্থগিত করেছি। আমরা আশা করি তিনি আন্তর্জাতিক আহ্বানে সাড়া দেবেন।

এদিকে সু চি’কে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বিরোধী আন্দোলনের সময় দেয়া সম্মানসূচক ডিগ্রি পুনর্বিবেচনার কথা জানিয়েছে ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির মুখপাত্র জানান, জাতিসংঘ মিয়ানমারে ‘জাতিগত নিধনের’ কথা উল্লেখ করেছে। রোহিঙ্গা সংকটে সু চি’র ভূমিকায় আমরা হতাশ।

লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের স্টুডেন্টস ইউনিয়নও জানিয়েছে যে তারা সু চির সম্মানিত প্রেসিডেন্ট পদ প্রত্যাহার করে নেবে। ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতির পাশা বলেন, রোহিঙ্গা নির্যাতনে অং সান সু চির বর্তমান অবস্থান ও গণহত্যার পরও নিষ্ক্রিয় থাকায় আমরা তাঁর সম্মানিত প্রেসিডেন্ট পদ ফিরিয়ে নেব।

৩০ বছর ধরে অং সান সু চি যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো, বাথ, কেমব্রিজসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডিগ্রি পেয়েছেন। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি শহর ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকেও তাঁকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে কোন জাতিগত সংখ্যালঘু নিধনের ঘটনা ঘটেনি বলে গতকাল জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে বলেছেন সু চি। সু চি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের ভয় করি না। কারো ঘাড়ে দায় চাপানো বা দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া মিয়ানমার সরকারের ইচ্ছা নয়। তার এই বক্তব্যের পর আবারও সমালোচনার তীব্রতা বেড়েছে।

জাতিসংঘের হিসেবে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত চার লাখ ৯ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে। প্রতিদিন গড়ে ১৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!