• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আপনি কি একটু বেশিই সুন্দরী? তাহলে পড়ুন...


নিউজ ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৭, ০৭:০৮ পিএম
আপনি কি একটু বেশিই সুন্দরী? তাহলে পড়ুন...

ঢাকা: কথায় আছে, হরিণের সৌন্দর্যই তার বিপদের কারণ। তেমনি বেশি সুন্দরী হওয়ার অনেক অসুবিধাও আছে। সুন্দর চেহারা আপনাকে হয়তো জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই নানা অনায্য সুবিধা লাভের সুযোগ করে দিবে। কিন্তু এমন কিছু বিষয় আছে যা, নিজের ঘনিষ্ঠ বান্ধবীদের কাছে প্রকাশ করতে পারেন না। এমনকি মাঝে মাঝে বান্ধবীরা পর্যন্ত তাকে মনে মনে ঘৃণা করতে পারেন। অথচ তা জানার পরেও কিছুই বলতে পারেন না তারা। অনেক সময় সুন্দরী হওয়ার কারণেই বন্ধুহীন একা হয়ে যেতে হয় কাউকে।

বেশি সুন্দরী হওয়ার ফলে জীবনের অনেক দিকই বেশ জটিল হয়ে পড়তে পারে। সম্প্রতি ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের সাইট রেড্ডিটে সুন্দরী নারীরা তাদের অসুবিধা নিয়ে কথা বলেছেন। 

রেড্ডিটের এক ইউজার প্রশ্ন রাখেন, “আপনার জীবনে কি এমন কোনো গল্প আছে যেখানে আপনার সৌন্দর্য্য বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে?” এই প্রশ্নের উত্তরে সবচেয়ে বেশি যে কথাটি বলা হয়েছে তা হলো- সুন্দরী হওয়ার কারণে কর্মস্থলে গুরুত্ব না পাওয়া। এক সুন্দরী লিখেছেন, “কর্মস্থলে কেউই আমাকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নেন না। তারা মনে করেন, আমি বোকা। যদিও আমি প্রমাণ করেছি বোকা নই। অথচ এরপরও তাদের মধ্যে এই ধারণা থেকেই গেছে। ”

“এমনকি আগের এক ম্যানেজার বলেছেন আমি একজন বয়স্ক লোকের শো-পিস স্ত্রী হিসেবেই সবচেয়ে ভালো করব!” আরেকজন বলেছেন, “আমি বয়সে যথেষ্ট তরুণ (মধ্য বিশের কোঠায় বয়স)। অথচ নিয়োগ কমিটির দায়িত্বে থাকা এইচআর ব্যক্তি আমাকে বলেন, আমার নিয়োগ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ বয়স্ক সহকর্মীরা আমাকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নেবেন না এবং সহজেই কাজে মনোযোগ হারাবেন। ”

এক স্বামী তার স্ত্রীর সুন্দরী হওয়ার অসুবিধা সম্পর্কে বলেন, “লোকে আমার স্ত্রীকে ‘নির্বোধ সুন্দরী’ মনে করে। যে কিনা পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিতে গেছে। কিন্তু বাস্তব হলো সে তার দলের আর বাকি সবার চেয়ে কাজের পদ্ধতি অনেক বেশি ভালো জানে। ”

অনেকে আবার সুন্দরী হওয়ার ফলে বন্ধুহীন বা নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ার কথা বলেছেন। কারণ সুন্দরী হওয়ার কারণে তাদের পক্ষে নারী বন্ধু পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। অন্যদিকে, পুরুষরাও শুধু বন্ধুত্বের চেয়েও বেশি কিছু প্রত্যাশা করেন। এক সুন্দরী লিখেছেন, “হাইস্কুলে থাকার সময় আমার যেসব সহপাঠিনীদের আমি বন্ধু ভেবেছিলাম তারা মনে মনে আমাকে ঘৃণা করত। আর আমি যখনই কোনো দুর্বলতা দেখাতাম তারা আমাকে ছোঁ মারত। ” “বিষয়টি আমার জন্য মানসিকভাবে খুবই অবসাদমূলক ছিল। ফলে আমি মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা বন্ধ করে দেই। ”

আরেকজন লিখেছেন, “পুরুষ বন্ধুদের সঙ্গে পানশালায় গিয়ে আমাকে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হত। কারণ সামান্য মদপানের পরই পুরুষ বন্ধুরা গায়ে ঢলে পড়তে চাইত। ” এছাড়া বেশি সুন্দরী হওয়ার কারণে জীবন সঙ্গী খুঁজে পাওয়াটাও কঠিন হয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন অনেকে। কারণ সকলেই ভাবেন আমার হয়তো কেউ আছে। ফলে আমাকে আর ভালোবাসার কথা জানাতে সাহস পান না। একজন লিখেছেন, “আমি অসংখ্যবার একথাটি শুনেছি, ‘কিন্তু তুমি সুন্দরী, আমি বিশ্বাস করতে পারছি না তুমি একা!” এ থেকে আমার ধারণা হয়, কেউ আমার সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপনের জন্য এগিয়ে আসছে না কারণ তাদের ধারণা আমার কেউ একজন আছেন। ”

আরেক সুন্দরী, তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, রাস্তায় একা পেলেই পুরুষরা তার সঙ্গে কথা বলতে চায়। গাড়িতে লিফট দিতে চায়। এতে আমি প্রায়ই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। আরেকজন লিখেছেন, ছেলেরা শুধু আমাকে কফি খাওয়াতে চায় এবং ফোন নাম্বার জানতে চায়। সুন্দরী হওয়ার আরো নেতিবাচক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো, গা ছমছম করা বুড়ো লোকরাও কাছে ঘেঁষে কথা বলতে চায় এবং পিছু পিছু অনুসরণ করে। 

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!