• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সূর্যমুখী চাষে ভোলায় কৃষকের মুখে হাসি


ভোলা প্রতিনিধি মে ৪, ২০১৮, ০৬:৩১ পিএম
সূর্যমুখী চাষে ভোলায় কৃষকের মুখে হাসি

ভোলা : জেলায় এবার সূর্যমুখী চাষে ভালো ফলন পাওয়া গেছে, তবে মৌসুমের শুরুতে আকস্মিক বৃষ্টিতে ফলনে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। জানুয়ারি মাসে সূর্যমুখী রোপণ করে সাড়ে তিন মাসের মাথায় জমিতে ফুল আসতে শুরু করে। এখন চলছে ফসল কাটার প্রস্তুতি।

বীজ সহজলভ্য ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় সূর্যমুখী আবাদে আগ্রহী হচ্ছেন ভোলার কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন পাওয়া গেছে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানান।

ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এই বছর ভোলা সদর, দৌলতখান, বৌরহানউদ্দিন, লালমোহন ও চরফ্যাশনসহ মোট পাঁচটি উপজেলায় ১৪ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে।

সরিষা ও তিলের চেয়ে সূর্যমুখীর তেল বেশি পাওয়া যায়, প্রতি মনে ১৮ থেকে ২০ কেজি করে তেল আসে, বাজারে দাম ও পাওয়া যায় ভালো।

ভোলা সদরের সূর্যমুখী কৃষানী মঞ্জুরা বেগম বলেন, সূর্যমুখি চাষে ভালো ফলন পাওয়া গেছে, সূর্যমুখী তৈল আমরা বাজারে বিক্রি করে, যা পাই তা দিয়েই আমাদের সংসার চালিয়ে যাচ্ছি।

লালমোহন উপজেলার কৃষক রহিমুদ্দিন বলেন, সূর্যমুখী দিয়ে আমরা তৈল তৈরি করি, সূর্যমুখীর খৈল আমরা গরুকে খাওয়াতে পারি, সূর্যমুখীর গাছ দিয়ে আমরা লাকড়ি হিসাবে রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহার করি।

চরফ্যাশন উপজেলার কৃষক মো. ছগির বলেন, সূর্যমুখীতে পোকার আক্রমণ নাই, তাই অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভালোই ফসল হয়েছে, সূর্যমুখীর তৈল দিয়ে ভালোই লাভবান হচ্ছি।

এ ব্যাপারে ভোলার কৃষি উপ-পরিচালক প্রশান্ত কুমার বলেন, সূর্যমুখী একটি নতুন ফসল। কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মিগণ সূর্যমুখীর কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছে, এইভাবে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সূর্যমুখী চাষে এগিয়ে আসলে, ভোলার এই উর্বর জমিতে সূর্যমুখী চাষে ব্যাপকতা বৃদ্ধি পাবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!