• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সেতু ও সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় দুর্ভোগ চরমে


ঝালকাঠি প্রতিনিধি জুলাই ১২, ২০১৮, ০৪:৪৪ পিএম
সেতু ও সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় দুর্ভোগ চরমে

ছবি: সোনালীনিউজ

ঝালকাঠি : কাঁঠালিয়া উপজেলার কানাইপুর খালের ওপর নির্মিত লোহার সেতু ও কানাইপুর-কৈখালী সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কানাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।

এই সেতু ও সড়ক ব্যবহার করে উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের কানাইপুর, দক্ষিণ চেঁচরি, কৈখালী, বীনাপানি, রাঁধানগরসহ ৮ গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষ আমানউল্লাহ মহাবিদ্যালয়, কাঁঠালিয়া সদর ও ভান্ডারিয়া উপজেলায় যাতায়াত করেন।

এলাকাবাসী জানায়, গত দুই সপ্তাহ আগে একটি ট্রলারের ধাক্কায় কানাইপুর সেতুটি একদিকে হেলে পড়ে। এতে সেতুতে থাকা বেশকিছু ঢালাই করা পাটাতন খালে পড়ে যায়। পরে এলাকাবাসী খাল থেকে কিছু পাটাতন সংগ্রহ করে সেতুটি মেরামত করলেও বর্তমানে সেতুটি দিয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

এ ছাড়াও সম্প্রতি কানাইপুর-কৈখালী সড়কটি ভেঙ্গে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের দুর্ভোগ আরো বেড়েছে।

কানাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার জানায়, ‘আমাদের বিদ্যালয়ে যেতে হলে প্রতিদিন সেতুটি পারাপার করতে হয়। বর্তমানে সেতু ও সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় আমাদের বিদ্যালয়ে যেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সেতু পারাপার করতে পাড়ছে না। তাই স্কুলের শিক্ষকদেরকে ছোট শিশুদের সেতু পার করিয়ে দিতে হয়।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুকুল রানী বলেন, ‘অধিকাংশ শিক্ষার্থী সেতুর অপর প্রান্ত থেকে বিদ্যালয়ে আসে। সেতু ভেঙ্গে যাওয়ায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে। প্রতিদিন বাচ্চাদের সেতু পার করিয়ে আনতে হয় আবার ছুটি শেষে দিয়ে আসতে হয়। শিশুদের কথা বিবেচনা করে এখানে জরুরিভিত্তিতে একটি সেতু নির্মাণ করা প্রয়োজন।’

বিদ্যালয়ের সভাপতি সমরেশ মন্ডল বলেন, ‘কানাইপুর খালের ওপর নির্মিত সেতু ও কানাইপুর-কৈখালী সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় বিদ্যালয়ে আসতে শিক্ষার্থীদের এবং বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। তাই জরুরিভিত্তিতে সেতুটি ও ভেঙ্গে যাওয়া সড়কের দুটি স্থানে কালভার্ট নির্মান করা প্রয়োজন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন বলেন, ‘সেতু চলাচলের জন্য স্থানীয়রা সাময়িকভাবে মেরামত করেছে। তবে শিশু শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সেতুটি টেকসই মেরামত অথবা নতুন করে নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া ভাঙ্গা সড়কে কালভার্ট নির্মাণের ব্যবস্থাও করা হবে।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!