• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সেনা মোতায়েনের চিন্তা ইসির


সোনালী বিশেষ নভেম্বর ১৪, ২০১৭, ০২:৪৬ পিএম
সেনা মোতায়েনের চিন্তা ইসির

ঢাকা : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ বসেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংলাপে বেশরিভাগ দলই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বাতিল এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনা মোতায়েনের পক্ষে মত দিয়েছে। বেশিরভাগ দলের মতকে প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন ও ইভিএম বাতিলের চিন্তা করছে ইসি।

সূত্র জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদের রোডম্যাপে ইভিএমের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। তা ছাড়া ইভিএম ব্যবহার নিয়ে ইসির কাছে পাল্টাপাল্টি প্রস্তাব এসেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তাব এসেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।

অপর দিকে নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপে বিএনপিসহ বেশির ভাগ দল বলেছে, জাতীয় নির্বাচনে কোনোভাবেই ইভিএম বা ডিভিএম পদ্ধতি বা এ জাতীয় কোনো যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো।

এ ছাড়া যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পুরনো প্রায় এক হাজার ইভিএম অকেজো করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ইসি। এ লক্ষ্যে একটি কমিটিও কাজ করছে। আর নতুন করে ইভিএম তৈরির কাজও চলছে। সেগুলো ব্যবহার হবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোট গ্রহণের কাজে সীমিত পরিসরে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা হবে প্রায় ৪০ হাজার। এই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হলে প্রায় আড়াই লাখ ইভিএম প্রয়োজন হবে। ভোটের আর বাকি আছে এক বছর। এই সময়ের মধ্যে এত বিপুল ইভিএম তৈরি কঠিন হবে।

তাছাড়া এসব মেশিনের ওপর নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। সর্বোপরি ভোটারদের নতুন একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভোটদানের উপযোগী করে তোলা প্রায় অসম্ভব, যেখানে ভোটারেরা ব্যালটেই অনেক ক্ষেত্রে সঠিকভাবে ভোট দিতে পারে না।

এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, পুরনো ইভিএম অকার্যকর ঘোষণা করা হয়েছে। কিছু ভালো আছে সেগুলো দিয়ে রংপুর কিংবা অন্য জায়গায় দেখার চেষ্টা করছি ইভিএম কার্যকর করা যায় কি না। তবে এই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতেই হবে এমন চিন্তা আমাদের মধ্যে নেই।  

তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ইভিএম যুক্ত করতে হবে। ভবিষ্যতে যারা আসবে তাদের পথটা আমরা রুদ্ধ করতে চাই না। তাদের পথ প্রশস্ত করতে চাই। আমাদের ইভিএম ব্যবহারের প্রাথমিক প্রস্তুতি নেই। এখন পর্যন্ত যে দশা দেখছি, এটা ব্যবহার সম্ভব নয়। আমাদের একটা স্বচ্ছ নির্বাচন করতে হবে। সেই স্বচ্ছ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ যন্ত্র দিয়ে হবে না।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা ও ইভিএম চালু করার বিষয়টি আরপিও সংশোধনের মাধ্যমেই করতে হবে। বর্তমানে ইসির একটি কমিটি আরপিও সংশোধনের কাজ করছে।

ইসির সংলাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সুপারিশগুলোর অন্যতম ছিল সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার না দেয়া। অন্য দিকে বিএনপির দাবি ছিল আরপিওতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকেও যুক্ত করে ভোটের সময় তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার দাবি তোলা হয়।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!