• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘সেনাবাহিনী অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে প্রস্তুত’


নিউজ ডেস্ক জানুয়ারি ৭, ২০১৭, ০৭:৪৪ পিএম
‘সেনাবাহিনী অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে প্রস্তুত’

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে গড়ে ওঠা এই সেনাবাহিনী যেকোনো অশুভ শক্তিকে দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করতে আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রস্তুত।’ তিনি আরও বলেন, সাঁজোয়া, গোলন্দাজ ও পদাতিক বাহিনীর নতুন প্রবর্তিত যুদ্ধ সরঞ্জামে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা আরও সুদৃঢ় হয়েছে।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে নোয়াখালীর স্বর্ণদ্বীপে (জাহাইজ্জার চর) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ম্যানুভার অনুশীলন-২০১৬ মহড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আজ সেনাবাহিনীর মহড়া দেখতে এবং বিভিন্ন উন্নয়নকাজের উদ্বোধন করতে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে জেগে ওঠা চর জাহাইজ্জার চর সফর করেন। চরটির নতুন নামকরণ করা হয় স্বর্ণদ্বীপ। দুপুরে হেলিকপ্টারে করে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণদ্বীপ পৌঁছে মাল্টিপারপাস সাইক্লোন শেল্টারের উদ্বোধন করেন এবং সেখানে একটি নারকেলগাছের চারা রোপণ করেন।

অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লে. জেনারেল আনোয়ার হোসেন দ্বীপটি গড়ে তোলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদ‌ক্ষেপ ও কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি ভিডিও উপস্থাপন করেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের চৌকস সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক রণসজ্জা ও তাদের সুদৃঢ় কার্যক্রম পেশাদারিত্বের স্বাক্ষর বহন করে। সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে নতুন সংযোজিত ট্যাংক এমবিটি-২০০০, এপিসি বিটিআর-৮০, সেলফ প্রোপেলড আর্টিলারি গান, নোরা-বি-৫২, রাডার বিহেকেল এসএলসি-২, ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল এমইটিআইএস-এম-১ সমরাস্ত্রের ব্যবহার, ইঞ্জিনিয়ার ও অন্যান্য সকল কোরের পেশাদারিত্ব দেখে আমি সেনাবাহিনীর সার্বিক সক্ষমতায় সম্পূর্ণ আশ্বস্ত।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের এই মহড়া সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও পেশাদারির প্রতিফলন, যা একটি আধুনিক ও শক্তিশালী সেনাবাহিনীর উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

১১ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে এবং ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ম্যানুভার অনুশীলন-২০১৬ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফ আশরাফ মহড়াটি পরিচালনা করেন। সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মুহম্মদ শফিউল হক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।

মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধানেরা, সাংসদেরা, জিওসি ১১ ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের অফিসার, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার, নন-কমিশন্ড অফিসার ও সৈনিকেরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

নোয়াখালীর দক্ষিণে ১৯৭৮ সালে মেঘনা নদীতে জেগে ওঠে এই চর। ৩৬০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই চরটি ২০১৩ সালে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং বসতি স্থাপনের উপযোগী করে তুলতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। সাগরপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা তিন মিটার। খবর-বাসস।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!