• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সোজা পথে আসুন, সরকারের উদ্দেশে ফখরুল


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮, ০৩:২৫ পিএম
সোজা পথে আসুন, সরকারের উদ্দেশে ফখরুল

ঢাকা : সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আপনারা অমানবিকতার পথ পরিহার করে সোজা পথে আসুন। সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। না হলে একদিন জনগণের কাছে জবাব দিতে হবে, কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, গতকাল কারাগারে স্থানান্তরিত আদালত রায় দিয়েছেন, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ চলবে। এটা বেআইনি, এটা তার প্রতি অবিচার, এটা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। খালেদা জিয়া অসুস্থ, তিনি হাঁটতেও পারেন না। অথচ তাকে চিকিৎসা না দিয়ে আদালতকে কারাগারে স্থানান্তরিত করে বিচারকাজ পরিচালনা করছে। অথচ আইনে বলা আছে, বিচারকাজ চলতে হবে অভিযুক্ত ব্যক্তির সামনে। আদালত আদেশ দিলেন, তার অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ চলবে।

আদালতের এ আদেশ জনগণ মেনে নিতে পারছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ আদেশ পরিবর্তন হওয়া জরুরি। আমরা আবারও দাবি জানাচ্ছি, খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতলে চিকিৎসা দেওয়া হোক।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে গায়েবি মামলার সংখ্যা তিন হাজার ৭০৬টি, আর এজাহারে নাম এসেছে তিন লাখ ১৩ হাজারের বেশি, আর অজ্ঞাতনামা আসামি দুই লাখ ৩৩ হাজার ৭৩০ জন, আর আটক করা হয়েছে তিন হাজার ৬০০ জনের বেশি। মূলত নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি ও বিরোধী মতকে বাইরে রাখতে সরকার নেতাকর্মীদের নামে গায়েবি মামলা দিয়ে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করছে। অথচ নির্বাচনের আগমুহূর্তে পৃথিবীর কোনো দেশে এমন গায়েবি মামলা দায়ের করে না।

তিনি বলেন, বিশ্বের যেকোনো দেশে নির্বাচনের সময় এলে জনগণকে নির্বাচনমুখী করা হয়। অথচ বাংলাদেশে সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা দখল রাখতে বিরোধী দলের নেতাকর্মী-সমর্থকদের নামে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। যাতে আবারও ৫ জানুয়ারি মতো নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকতে চায়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ আইন করা হলো যাতে কেউ আর সরকারের অপশাসন, অন্যায়-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে না পারে। এ আইনে কোনো সরকারি কর্মকর্তার গোপন তথ্য বা দুর্নীতির খবর প্রকাশ করলে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও ২৫ লাখ টাকা জরিমানা। তাহলে বলেন গণতন্ত্র কোথায়?

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!