• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সোহরাওয়ার্দীতে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন খালেদা


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১০, ২০১৭, ০২:৩২ পিএম
সোহরাওয়ার্দীতে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন খালেদা

ঢাকা : জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির উদ্যোগে যে জনসভার আহ্বান করা হয়েছে। এতে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উপস্থিত থাকবেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, রোববারের এই জনসভায় সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে, এমনটাই প্রত্যাশা করে বিএনপি। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগরীর নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলের মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, আগামী রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জনসভায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উপস্থিত থাকবেন এবং প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন। কীভাবে জনসভা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পূর্ণ করা যায়, তা নিয়ে আজকের সভায় আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার সব সময় বলে থাকে, তারা গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দেয় না। এমনকি গতকাল তাদের একজন নেতা বলেছেন যে, এ ধরনের সমাবেশে তাদের কোনো বাধা নেই। আমরা আশা করব, তাদের কথাগুলো সত্যি হবে এবং সরকার সহযোগিতা করবে।

যথাসময়ে জনসভার অনুমতি দেবে এমন আশা ব্যক্ত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো অনুমতি পাওয়া যায়নি। আমরা আশা করছি, সরকার যথাসময়ে ১২ তারিখের জনসভার অনুমতি দেবে এবং সমাবেশ যে গণতান্ত্রিক অধিকার, তা পালনে সরকার সহযোগিতা করবে। তিনি বলেন, মঙ্গলবার তাদের (ক্ষমতাসীন দল) একজন নেতা বলেছেন যে, তারা বাধা দেননি এবং এই ধরনের সমাবেশে কোনো বাধা নেই। আমরা আশা করব যে, তাদের এই কথাগুলো যেন সত্য প্রমাণ হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমরা ঠিকভাবে পালন করতে পারিনি। কারণ কমনওয়েথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্সের কথা বলে আমাদেরকে অনুমতি দেয়া হয়নি। আমরা আশা করব যে, এই সমাবেশের অনুমতি যথা সময়ে দেবেন। আমাদের যে গণতান্ত্রিক অধিকার, সেই অধিকার প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে সরকারের কাছ থেকে আমরা সেই সহযোগিতা পাব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, সিনিয়ির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, হারুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, মুন্সিগঞ্জের আবদুল হাই, কামরুজ্জামান রতন, টাঙ্গাইলের শামসুল আলম তোহা, মানিকগঞ্জের মইনুল ইসলাম শান্ত, গাজীপুরের ফজলুল হক মিলন, কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, হাসানউদ্দিন সরকার, নরসিংদীর খায়রুল কবীর খোকন, নেসারউদ্দিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া দলের অঙ্গ-সংগঠনের মধ্যে মহানগর দক্ষিণ কাজী আবুল বাশার, উত্তরের মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, যুব দলের মোরতাজুল করিম বাদরু, নুরুল ইসলাম নয়ন, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, জাসাস অধ্যাপক মামুন আহমেদ, হেলাল খান, মুক্তিযোদ্ধা দলের আবুল হাশেম, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, কৃষক দলের নাজিম উদ্দিন মাস্টার, উলামা দলের হাফেজ আবদুল মালেক, শাহ নেসারুল হক, ছাত্র দলের রাজীব আহসান, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, তাঁতী দলের আবদুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!