• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সৌদি আরবের সঙ্গে মিলে শতাধিক গ্রামে ঈদ


নিউজ ডেস্ক জুন ২৫, ২০১৭, ১০:২৭ এএম
সৌদি আরবের সঙ্গে মিলে শতাধিক গ্রামে ঈদ

ফাইল ছবি।

ঢাকা: প্রতি বছরের ন্যায় এবারো সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন দেশের শতাধিক গ্রামের মানুষ। মধ্যপ্রাচ্যে গতকাল শনিবার ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা গেছে সে হিসাবে ওই দেশগুলোতে ঈদ উদযাপন হচ্ছে আজ।

সাধারণত বাংলাদেশে মধ্যপ্রাচ্যের একদিন পর চাঁদ দেখা যায় সে হিসেবে ঈদও একদিন পর হয়ে থাকে। কিন্তু, দেশের কিছু পীরের মুরিদগণ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে থাকে। তবে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মুসলমান আজ রোববার চাঁদ দেখা গেলে ঈদ উদযাপন করবেন সোমবার। 

বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় এসব গ্রামের বিভিন্ন পীরের অনুসারীরা বরাবরই রোজা, ঈদ, শবে-বরাত, শবে-মেরাজসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে পালন করে আসছেন।

মৌলভীবাজারে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন ১০টি গ্রামের দেড় শতাধিক মানুষ। শহরের সার্কিট হাউস এলাকার আহমেদ শাবিস্তা বাসার ছাদে রোববার সকাল সোয়া ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন এলাকার নারী ও পুরুষ নামাজ আদায় করেন।

মুন্সীগঞ্জ সদরের ৯টি ও সিরাজদিখান উপজেলার ৬টি গ্রামে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে আজ। রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আধারা গ্রামের জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় ও সিরাজদিখানের মালখানগর কলেজ সংলগ্ন গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির আঙ্গিনায় ৩ উপজেলার অর্ধশত মুসল্লি সকাল ১০টায় ঈদের নামাজ আদায় করেন। ১৬ বছর ধরে এই ধারা অব্যাহত রাখছে এ সকল গ্রামের মানুষ।

মালখানগরে ঈদের নামাজ আদায় করতে আসেন সিরাজদিখান উপজেলার তালতলা, মালখানগর, কাজীরবাগ, বয়রাগাদি পাউলদিয়া গ্রাম ও টঙ্গিবাড়ি উপজেলার পুর্ব রায়পুরা গ্রামের বেশ কয়েকজন মুসল্লি। এ সময় নামাজের ইমামতি করেন নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার মীরগঞ্জ গ্রামের আলহাজ্ব মোহাম্মদ সুলতান মোড়ল।

সদর উপজেলার ঈদ উদযাপিত গ্রামগুলো হচ্ছে- আধারা, কালিরচর, মিঝিকান্দি, বাংলাবাজার, আনন্দপুর, বাঘাইকান্দি, নয়াকান্দি, শিলই ও কংশপুরা।

এছাড়াও চাঁদপুর, ভোলাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদের জামাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধিরা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!