• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সৌদিতে নিহতদের লাশ দ্রুত ফেরানোর দাবি, পরিবারে শোকের মাতম


প্রবাসে বাংলা ডেস্ক এপ্রিল ১৯, ২০১৮, ০৩:১২ পিএম
সৌদিতে নিহতদের লাশ দ্রুত ফেরানোর দাবি, পরিবারে শোকের মাতম

ঢাকা: সৌদি আরবে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত সাত বাংলাদেশির পরিবারে চলছে শোকের মাতম। এমন মৃত্যুতে অনিশ্চিয়তায় পড়েছে তাদের পরিবার। লাশগুলো দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি স্বজনদের।

২০০১ সালে সৌদি আরব যান কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের এমরানুল হক সোহেল। গত বছর নিয়ে গেছেন ছোট ভাই ইমামুল হক মুন্নাকে। দুইজনে একটি ওয়ার্কশপ চালাতেন। তাদের টাকায় চলতো পুরো পরিবার। সচ্ছলতাও এসোছিলো। কিন্তু, সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সব কিছু ওলটাপালট হয়ে গেল। একই ঘটনায় চৌদ্দগ্রামের সোহেলসহ আরও দুই জন নিহত হয়েছে।

সৌদি আরবের ওই একই বাসায় থাকতেন লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের নেছার আহম্মদ ও তার দুই ছেলে জসিম উদ্দিন ও ইব্রাহিম। সেখানে লেপতোষকের ব্যবসা করতেন তারা। বিস্ফোরণে দুই ছেলে মারা গেলেও সে সময় বাসায় না থাকায় বেঁচে যান নেছার আহম্মদ।

সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মারা গেছে ফেনীর মহিউদ্দিন রাশেদ। তিন সন্তানকে সুন্দর ভবিষ্যৎ দিতে গেল ছয় ফেব্রুয়ারি সৌদি আরব যান তিনি। সেখানেও বেকার থাকতে হয় আড়াই মাস। বুধবারই কথা ছিলো চাকরিতে যোগ দেয়ার। কিন্তু সেদিনই দুর্ঘটনায় নিহত হন রাশেদ।

সৌদি আরবের হোলাইফা শহরের একটি বাসায় বুধবার (১৮ এপ্রিল) গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেসময় বাসাটির একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন সাত বাংলাদেশি।

নিহতরা হলেন- কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের এমরানুল হক সোহেল ও তার ভাই ইমামুল হক মুন্না এবং মোহাম্মাদ সোহেল। এছাড়া লক্ষ্মীপুরের জসিম উদ্দিন ও তার ভাই মোহাম্মদ ইব্রাহিম এবং ফেনীর মহিউদ্দীন রাশেদ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।

রাতে তারা একটি রুমে ঘুমিয়ে থাকার সময় আগুন লাগে। দেহ পুড়ে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্তের জন্য তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

এর আগে গত সপ্তাহে রিয়াদে ভবনে আগুন লেগে প্রাণ হারান ৬ বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিক।


সোনালীনিউজ/জেডআরসি/আকন

Wordbridge School
Link copied!