• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্তন ক্যানসার রোধে চাই সচেতনতা


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১০, ২০১৭, ০৪:০১ পিএম
স্তন ক্যানসার রোধে চাই সচেতনতা

ঢাকা: ১০ অক্টোবর। আজ বিশ্ব স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস। বিশ্বে প্রতিবছর পুরো অক্টোবর ‘বিশ্ব স্তন ক্যানসার সচেতনতার মাস’ হিসেবে পালন করা দিনটি বিশেষভাবে পালন করা হয়। 

বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম ও রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ‘ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১’-এর যৌথ উদ্যোগে দেশব্যাপী দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

স্তন ক্যানসার থেকে বাঁচতে একটু সচেতন হলেই হয়। অথচ ক্যানসারজনিত মৃত্যুর কারণ হিসেবে স্তন ক্যানসারের অবস্থান দ্বিতীয়। শীর্ষে রয়েছে ফুসফুসের ক্যানসার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নারীরা স্তন ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হয়। আক্রান্তের হার বছরে ৮ শতাংশেরও বেশি। 

লক্ষণ: স্তনে চাকা বা গোটা; স্তনের বোঁটা বা নিপল ভেতরে ঢুকে যাওয়া; বোঁটা দিয়ে রক্তক্ষরণ বা অস্বাভাবিক রস নিঃসরণ; চামড়া কমলালেবুর খোসার মতো হওয়া; বগলতলায় চাকা দেখা দেয়া ইত্যাদি। তবে মনে রাখতে হবে, ব্যথা দিয়ে স্তন ক্যানসার মোটেও শুরু হয় না। 

স্তন ঝুলে যাওয়ার কিছু কারণ: ২২ থেকে ২৩ বছর বয়সে স্তন ঝুলে যাওয়ার নানাবিধ কারণ থাকতে পারে। বিএমআই (Bodz mass index) বৃদ্ধি, স্তনের অতিরিক্ত আকার এবং ধূমপান (প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ) প্রায় যেকোনো বয়সেই নারীর স্তন ঝুলে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তা ছাড়া যেসব খেলাধুলায় স্তন সজোরে লাফালাফি করে, যেমন-ব্যাডমিন্টন, দৌড়, উচ্চলম্ফ ইত্যাদি স্তন ঝুলে যাওয়ায় ব্যাপক ভূমিকা রাখে।

এ ছাড়া যেকোনো কারণে স্তন ঝুলে যাওয়ার সঙ্গে অস্থিবন্ধনী এবং স্তনের চারপাশের চামড়ার স্থিতিস্থাপকতার বিষয়টি জড়িত। বিএমআই বৃদ্ধি এবং বড় আকারের স্তন সাধারণত মাধ্যাকর্ষণের কারণে হয়ে থাকে। স্তনের পেশিকলা, নিচের দিকে টানা, স্তনের চামড়ার টানটান ভাব শিথিল, দুর্বল হয়ে যাওয়ার ফলে স্তনে ঢিলে ভাব পরিলক্ষিত হয়। খেলাধুলার সময় ক্রমে স্তনের ওপর-নিচ কম্পনের কারণেও স্তনের পেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে, যা পরে স্তনকে সঠিক মাত্রায় সাপোর্ট দেয়ার সামর্থ্য হারায়।

স্তন বৃদ্ধি বা ঝুলে যাওয়া নিয়ে কিছু ভুল ধারণা

অনেক নারীর মধ্যে একটি ভুল ধারণা আছে, যেমন-সন্তানকে স্তন্যদান করার কারণে অল্প বয়সে স্তন ঝুলে পড়ে। এ ধারণা এশিয়ার কিছু দেশে বিদ্যমান। তবে এ ভুল ধারণা মধ্যপ্রাচ্যের নারীদের বেলায় অনেক বেশি। আমেরিকান সোসাইটি অব প্লাস্টিক সার্জনের বর্ণনা মতে, স্তন্যদানের সঙ্গে স্তনের আকারের সম্পর্ক নেই। এমনকি যেসব নারী একের অধিক সন্তানকে স্তনপান করান, তাদেরও সন্তানকে স্তন্যদানের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ প্রভাব স্তনের আকারে পড়ে না।

প্রাথমিক অবস্থায় স্তন ক্যানসার নির্ণয়: প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে স্তন ক্যানসার প্রায় শতভাগ নিরাময় সম্ভব। এ ক্ষেত্রে নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রতিমাসে একবার, মাসিক ঋতুস্রাব শেষ হওয়ার একদিন পর এবং ঋতুস্রাব বন্ধ নারীদের ক্ষেত্রে প্রতিমাসে একবার নির্ধারিত একই তারিখে নিজেই পরীক্ষা করে দেখুন স্তনে কোনো অস্বাভাবিকতা ধরা পরে কিনা। অস্বাভাবিক কোনো পরিবর্তন ধরা পড়লে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!