• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

স্ত্রী নির্যাতন: জাতিসংঘের কর্মকর্তা কারাগারে


রাজশাহী ব্যুরো সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮, ১০:৩৯ পিএম
স্ত্রী নির্যাতন: জাতিসংঘের কর্মকর্তা কারাগারে

রাজশাহী: যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এবিএম সাদিকুর রহমান নামে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার-(ইউএনএইচসিআর) এক কর্মকর্তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে রাজশাহী নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ট্রাব্যুনাল-১ এর বিচারক মনসুর রহমান তার আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে এ মামলার অপর চার আসামির জামিন শর্তসাপেক্ষে মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এবিএম সাদিকুর রহমান বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌর এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে।

মামলার এজাহারের বিবরণে জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর আগে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের নুর হোসেনের মেয়ে সঙ্গীতা মুনমুন লিপি ওরফে শ্যামলীর সঙ্গে এবিএম সাদিকুর রহমানের হয়। এই দম্পত্তির ৬ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বিয়ের কিছুদিন ভালোভাবে সংসার করলেও পরে সাদিকুর রহমান ইউএনএইচসিআর-এ একটি ভালো চাকরি পান। ওই সময় থেকেই সাদিকের আচরণ বদলাতে থাকে। পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া নিয়ে পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। এর বাইরে মোটা অংকের টাকা যৌতুকের দাবিতে সাদিক স্ত্রী শ্যামলীর ওপর নির্যাতন শুরু করেন।

সাদিকের সঙ্গে নির্যাতনে যোগ দেন শ্বশুর মজিবুর রহমান, ভাসুর শামসুর রহমানুল শামীম, দুই ননদ যথাক্রমে মোস্তারা বেগম কাকলী ও মোস্তারি আফরোজ শিউলীসহ পরিবারের অন্যরাও।

এদিকে গত ১৬ জুন ঈদে সাদিকুর রহমান বাড়িতে এসে স্ত্রীর উপর ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন চালায়। সঙ্গে নির্যাতনে যোগ দেন পরিবারের অন্যরা। এক পর্যায়ে শ্যামলীকে ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। এলাকার লোকজন শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করে তাকে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে ভর্তি করেন। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসা দেয়া হয়।

কিছুটা সুস্থ হয়ে গত ৯ জুলাই শ্যামলী তার স্বামী সাদিক, শ্বশুর মজিবুরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছেন বাগমারা থানা পুলিশের এসআই আশরাফ আলী।

বাদীপক্ষে মামলার আইনজীবী হাসিবুল ইসলাম বলেন, আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলাটিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। দীর্ঘদিন নানা কৌশলে প্রধান আসামি সাদিক আদালতে হাজিরা এড়িয়ে গেছেন।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!