• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

স্ত্রীকে ঘরে তুলতে বাধ্য হলেন ক্রিকেটার শহীদ


ক্রীড়া প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭, ০৫:১৪ পিএম
স্ত্রীকে ঘরে তুলতে বাধ্য হলেন ক্রিকেটার শহীদ

ঢাকা: অবশেষে মামলার ভয়ে একরকম বাধ্য হয়েই স্ত্রী ফারজানা আক্তার ও দুই সন্তানকে ঘরে তুলে নিলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার মোহাম্মাদ শহীদ। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কয়েকজন মুরব্বিসহ শহীদের বাবা মুন্সীগঞ্জে (শহীদের শ্বশুর বাড়ি) এসে তাদের নিয়ে যান। এর ফলে প্রায় তিন মাস পর স্বামীর ঘরে ফিরে গেলেন ফারজানা।

চলতি বছরের জুনে নির্যাতন করে দুই সন্তানসহ স্ত্রীকে বাড়ি (নারায়ণগঞ্জ) থেকে বের করে দেন পেসার শহীদ। এরপর তিনি আশ্রয় নেন মুন্সীগঞ্জে বাবার বাড়িতে। স্ত্রী-সন্তানদের ফিরিয়ে না নিতে অনড় অবস্থানে থাকেন শহীদ। পরে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নালিশ করেন তার স্ত্রী ফারজানা।

স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতন ও পরকীয়ার অভিযোগ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। বিসিবির পক্ষ থেকে তাকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল। একইসাথে আপস-মীমাংসার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনকে।

কিন্তু সুজনের কথা এড়িয়ে যান শহীদ। বাধ্য হয়েই শহীদের স্ত্রী ফারজানাকে মামলা করার পরামর্শ দেন সুজন। তবে মামলা করার আগে শহীদকে ম্যাসেজে বিষয়টা জানাতে বলেন তিনি।

ফারজানার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মীমাংসার আর কোনো সম্ভাবনা না দেখে মঙ্গলবার দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে মুন্সীগঞ্জ আদালতে মামলা করতে যান শহীদের স্ত্রী ফারজানা। সুজনের পরামর্শ মতো যাওয়ার আগে শহীদকে বিষয়টি ম্যাসেজ করে জানান ফারজানা। মামলার সব কাগজপত্র চূড়ান্ত করে (পরের দিন মামলা হওয়ার কথা ছিল) বাসায় ফিরে দেখতে পান শহীদের বাবা ও তাদের কয়েকজন আত্মীয় বসে আছেন।

তারা মামলা না করার অনুরোধ করেন ফারজানা ও তার পরিবারকে। ভবিষ্যতে আর কোনো সমস্যা হবে না, শহীদ ঠিক হয়ে যাবে- এমনটা আশ্বাস দিয়ে তারা ফারজানাকে নারায়ণঞ্জে শহীদের বাড়িতে নিয়ে যান। ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকায় শহীদ এই মুহূর্তে বাড়িতে নেই।

জানা গেছে, এই দুই দিনে ফারজানার সঙ্গে ফোনেও কথা বলেননি শহীদ। তবে ভোল পাল্টে শহীদের বাড়ির লোকজন ফারজানার সঙ্গে বেশ ভালো ব্যবহার করছেন এখন।

২০১১ সালের ২৪ জুন পারিবারিকভাবে পেসার শহীদ ও ফারজানার বিয়ে হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর শহীদ পাল্টে যান। তিনি অন্য মেয়েতে আসক্ত হয়ে পড়েন। এর প্রতিবাদ করলে শারীরিকভাবে প্রচণ্ডভাবে নির্যাতনের স্বীকার হন ফারাজানা।

চলতি বছর ঈদুল ফিতরের তিন দিন আগে ফারজানাকে তার দুই সন্তানসমেত বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয় ফারজানা আক্তারকে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!