স্ত্রীকে ফেরাতে পারলেন না, হলেন লাশ!

চট্টগ্রাম: জেলার মিরসরাই উপজেলায় ওমর ফারুক (৩০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই যুবকের সাবেক স্ত্রী, শ্যালিকা ও স্ত্রীর প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকালে জোরারগঞ্জ থানার সোনাপাহাড় এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।

ওমর ফারুক উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার মেহেদীনগর এলাকার সুজাউল হকের ছেলে। তিনি উপজেলার বারৈয়াহাট এলাকায় কাপড়ের হকারি করতেন।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দৌলা রেজা জানান, শুক্রবার সকালে জোরারগঞ্জের সোনাপাহাড় এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ থেকে ওমরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে তদন্ত করে ওই হত্যায় জড়িত সন্দেহে ফারুকের সাবেক স্ত্রী জেসমিন সুলতানা (২৫), শ্যালিকা আবিদা সুলতানা ও জেসমিনের প্রেমিক নুরুল আবছার ওরফে রুবেলকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই তিনজন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে বলেও জানান তিনি।

জোরারগঞ্জ থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, শুক্রবার সকালে লাশ উদ্ধারের পর স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারি লাশটি ফারুকের। পরে তদন্ত করে হত্যার কারণ অনুসন্ধান করি।

তিনি আরো জানান, পাঁচ বছর আগে ফারুকের সঙ্গে জেসমিনের বিয়ে হলেও বছরখানেক আগে তাদের ডির্ভোস হয়ে যায়। এর পর জেসমিনের সঙ্গে রুবেলের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তবে তা ওমর ফারুক মেনে নিতে পারেনি। বিভিন্ন সময়ে ফারুক জেসমিনকে আবার নিজের কাছে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে, কিন্তু জেসমিন ফিরে আসেনি। তাদের ঘরে সাড়ে তিন বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।

এছাড়া ফারুক তার শ্যালিকা আবিদাকেও বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছিল বলে জেসমিন পুলিশকে জানায়। জেসমিন ফিরে না আসায় ফারুক বিভিন্নভাবে তাকে ভয়ভীতি দেখাত। এর জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলেও জানান তিনি।

ওসি আরো জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ওমরকে ডেকে নিয়ে জেসমিন, রুবেল ও আবিদা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ মহাসড়কের পাশে ফেলে যায়। লাশ উদ্ধারের পর ফারুকের সাবেক শ্বশুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফারুকের ছোট ভাই মো. ইব্রাহীম বাদী হয়ে এ ঘটনায় জোরাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম