• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
পরিবহন ধর্মঘট

স্থলবন্দরে আটকা পড়েছে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক


চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি মে ২২, ২০১৭, ০৭:৪২ পিএম
স্থলবন্দরে আটকা পড়েছে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: টানা পরিবহন ধর্মঘটে সোনামসজিদ দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দরে আটকা পড়েছে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৪ কোটি টাকার, এমন দাবি করেছেন পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।

মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচাল বন্ধ, ট্রাকের বাম্পার খুলে ফেলাসহ ৭ দফা দাবিতে গত রোববার (২১ মে) থেকে উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলায় ট্রাক-লরি, কাভার্ডভ্যান, পিকাপ মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা টানা ধর্মঘটে পণ্যপরিবহন নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। পণ্য পরিবহন না হওয়ায় বিভিন্ন কাঁচামালের সংকট দেখা দিয়েছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আটকা পড়েছে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, আদাসহ বিভিন্ন কাঁচামাল। এতে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। চরম সমস্যায় পড়েছেন বন্দরের শ্রমিকরা।

সোনামসজিদ পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার আবু হেনা মোস্তফা কামাল রিপন জানান, টানা পণ্য পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় স্থলবন্দরে শতাধিক কাঁচা পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে। ফলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হবে প্রায় ৪ কোটি টাকা। এ ছাড়া প্রতিদিনই কাঁচা পণ্য বন্দরে প্রবেশ করছে। ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানান তিনি। তারপরও ধর্মঘট ২৪ ঘন্টা বাড়ানোর কারণে আরও সমস্যা দেখা দেবে।

এ ব্যাপারে সোনামসজিদ সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন অর রশিদ জানান, ভারতেও প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে অনেক ট্রাক। ধর্মঘটে বন্দরে শুধু পেঁয়াজের ট্রাক বন্ধ থাকায় ক্ষতির পরিমাণ প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা। তবে এ অবস্থা চলতে থাকলে ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে এবং রাজস্ব ক্ষতি হবে।

এদিকে, সোনামসজিদ স্থলবন্দর শ্রমিক সমন্বয় কমিটির সভাপতি মো. সাদেকুর রহমান মাস্টার জানান, টানা পণ্য পরিবহন যান চলাচল বন্ধ থাকায় স্থলবন্দরে ট্রাক আনলোড হচ্ছে, কিন্তু লোড হচ্ছে না। ফলে শ্রমিকদের ক্ষতি হচ্ছে। গত দুইদিন থেকে বন্দরে কাজ না থাকায় বেকায়দায় পড়েছেন শ্রমিকরা। আয় না হওয়ায় চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা।

জাতীয় শ্রমিকলীগের স্থবন্দর শাখার সভাপতি মো. কুরবান আলী বলেন, শ্রমিক ও পরিবহন ধর্মঘটের কারণে স্থলবন্দরে প্রায় শতাধিক পেঁয়াজ বোঝায় ট্রাক আটকা পড়েছে। স্থলবন্দরে লোড-আনলোড বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছে। লোড আনলোড বন্ধ হওয়ার কারণে আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বন্দর শ্রমিকরা। বন্দর সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন যত দ্রুত সম্ভব পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়ে যায় ততই মঙ্গল। শ্রমিক ও পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বন্দরের শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ

Wordbridge School
Link copied!