• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘স্পাইডারম্যান এবিডি’তে মুগ্ধ কোহলি, প্লে-অফের দৌড়ে বেঙ্গালুরুও


ক্রীড়া ডেস্ক মে ১৮, ২০১৮, ০৪:৩৪ পিএম
‘স্পাইডারম্যান এবিডি’তে মুগ্ধ কোহলি, প্লে-অফের দৌড়ে বেঙ্গালুরুও

ফাইল ফটো

ঢাকা: তাঁকে বলা হয় ক্রিকেটের ‍সুপারম্যান। তিনি এমন এমন কাণ্ড কীর্তি করে বসেন যেটাকে অতিমানবীয় বললেও কম বলা হয়। সেই এবি ডি ভিলিয়ার্স এবার হয়ে গেলেন ‘স্পাইডারম্যান’। তাঁর অতিমানবীয় পারফরম্যান্স যে প্লে-অফের দৌড়ে রেখে দিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে।

বৃহস্পতিবারের (১৭ মে) নাটকীয় ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে তিন রানে হারিয়ে প্লে-অফের আরও কাছে চলে এল বিরাট কোহলির দল। দুই পয়েন্ট পাওয়াই নয়, ভালো নেট রানরেট থাকায় লিগ টেবিলে পাঁচ নম্বরে উঠে এল বেঙ্গালুরু। ১৯ তারিখ রাজস্থান রয়্যালসকে হারাতে পারলে প্লে-অফে ওঠার খুব ভালো সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যাবে তাঁদের।

চিন্নাস্বামীতে প্রথমে ব্যাট করে বেঙ্গালুরু তোলে ৬ উইকেটে ২১৮। জবাবে হায়দরাবাদ শেষ করে তিন উইকেটে ২০৪ রানে। এই ম্যাচ বেঙ্গালুরু জিতে যাওয়ায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) ওপরও চাপ তৈরি হলো। শনিবার (১৯ মে) হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কেকেআর শেষ ম্যাচে হেরে গেলে আর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, বেঙ্গালুরু নিজেদের শেষ ম্যাচ জিতলে কিন্তু ছিটকে যেতে পারেন দীনেশ কার্তিকেরা। কারণ নেট রানরেটে পিছিয়ে আছে কেকেআর।

বৃহস্পতিবার (১৭ মে) চিন্নাস্বামী দেখল তিন ব্যাটসম্যানের তাণ্ডব। এক দিকে ডিভিলিয়ার্স-মঈন আলি। অন্যদিকে, কেন উইলিয়ামসন। শেষ হাসি অবশ্য হাসল কোহলির দলই। সৌজন্যে অবশ্যই ডি ভিলিয়ার্স (৩৯ বলে ৬৯)। তিনি সঙ্গে পান মঈনকে (৩৪ বলে ৬৫)। তবে ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি আলোচনায় উঠে এসেছে তাঁর নেওয়া আলেক্স হেলসের ক্যাচও। যা নিয়ে কোহলি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ ও সব করতে পারে না। ক্যাচটা নিল যেন একেবারে স্পাইডারম্যান!’

পাশাপাশি এবির ব্যাটিং নিয়ে কোহলি বলেন, ‘এবির শট আমাকে এখনও মুগ্ধ করে রেখেছে।’ হেলসের মারা ওই শটটা ডিপ মিডউইকেট বাউন্ডারির ধারে শূন্যে লাফিয়ে উঠে ধরে নেন ডি ভিলিয়ার্স। ঠিক যেভাবে চুম্বক লোহাকে আকর্ষণ করে। একশো গজের ওপর দৌড়ে এসে ডিভিলিয়ার্সকে জড়িয়ে ধরেন কোহলি।

কিন্তু তা সত্ত্বেও একটা সময় মনে হচ্ছিল, হায়দরাবাদ ম্যাচ জিতে যেতে পারে। বিশাল রান তাড়া করতে নেমে দুরন্ত ব্যাট করছিলেন উইলিয়ামসন (৪২ বলে ৮১)। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২০ রান। কিন্তু মোহাম্মদ সিরাজের প্রথম বলেই আউট হয়ে যান হায়দরাবাদ অধিনায়ক। বাকি রানটা আর তুলতে পারেননি মণীশ পাণ্ডে (৩৮ বলে অপরাজিত ৬২)।

ম্যাচের পরে কোহলি বলছিলেন, ‘বিপক্ষ ভয় পেয়েছে দেখলেই আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ছি। আমাদের শক্তি দেখে অন্য দলগুলো এখন চায় না, আমরা ম্যাচ জিতি। এটা আমাদের ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচ ছিল। দর্শকদের আনন্দ দিতে পেরে ভালো লাগছে।’

ম্যাচের সেরা ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘স্টেডিয়াম জুড়ে দর্শকদের মুখে আমার নাম শুনতে শুনতে অদ্ভুত একটা অনুভূতি হচ্ছিল। তবে আমি মানুষই! আমার লক্ষ্য থাকে বোলারদের ওপর চাপ তৈরি করা।’

এদিন হায়দরাবাদের হয়ে দারুন বোলিং করলেন রশিদ খান। প্রথমে কোহলি (১২), তার পর একই ওভারে ডি ভিলিয়ার্স এবং মঈনকে তিনি ফিরিয়েছন। তারপরও বেঙ্গালুরুকে দুই শ’র আগে থামানো যায়নি। যে রান টপকাতে ব্যর্থ হয়েছে হায়দরাবাদ।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!