• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্বপ্ন প্রকল্পের নারী কর্মী বাছাইয়ে ব্যাপক দুর্নীতি


জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম নভেম্বর ২০, ২০১৭, ০১:৫০ পিএম
স্বপ্ন প্রকল্পের নারী কর্মী বাছাইয়ে ব্যাপক দুর্নীতি

কুড়িগ্রাম: জেলার ফুলবাড়ীতে ইকো সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) স্বপ্ন প্রকল্পের আওতায় মহিলা উপকার ভোগী যাচাই-বাছাইয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকার ইউপি সদস্য ও সাধারণ মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের স্বপ্ন প্রকল্পের আওতায় দারিদ্র্যের হার হ্রাস করার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ডে রাস্তায় মাটি কাটার জন্য স্বামী পরিত্যাক্তা, তালাকপ্রাপ্ত ও বিধবা নারীদের বিভিন্ন শর্তাবালী দিয়ে লটারির মাধ্যমে ওয়ার্ড প্রতি ৪ জন করে নারী উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়। উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নে নারী উপকার ভোগীদের টাকার বিনিময়ে ও প্রকল্পের শর্ত না মেনে নারী নির্বাচন করায় ইউপি সদস্যসহ সাধারণ জনগণের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বড়ভিটা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের রশিদা বেগম জানান, আমার নাম প্রথম দিনে লটারিতে উঠার পর আমার ছবি তোলা হয়। উজির মেম্বার আমার নাম টেকার জন্য ১০ হাজার টাকা দাবি করে, পরে ধার দেনা করে টাকা ও ভোটার আইডি কার্ড উজির মেম্বারের কাছে জমা দেই। কিন্তু আমার নাম না দিয়ে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে নুরুর স্ত্রী সামিনা বেগমেকে নিবার্চন করা হয়।

এ ছাড়াও ওই ইউনিয়নের অন্যান্য ওয়ার্ডগুলোতে ৪ জন করে নারী উপকারভোগী বাছাইয়ের শর্ত না মেনে যাদের স্বামী আছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদেরকেই নির্বাচন করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার অন্য ইউনিয়নগুলোতেও টাকার বিনিময়ে উপকারভোগী নির্বাচন হয়েছে বলে জানা গেছে।

নওদাবশ ৯ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান দুলু বলেন, আমাদেরকে ও প্রকল্পের সভাপতিকে  না জানিয়ে চূড়ান্ত লটারি করে প্রতি ওয়ার্ডে ৪ জন করে উপকার মহিলা উপকারভোগী বাছাই করা হয়েছে। এর যোগসাজসের মধ্যে বড়ভিটা ইউনিয়নের মাঠকর্মী গোপেশ চন্দ্র জড়িত রয়েছে এবং গত বছরেও ব্যাপক দুর্নীতি করেছে।

বড়ভিটা ইউনিয়নের ফিল্ড ফেসিলেটেটর গোপেশ জনান, আমরা অফিসের শর্ত মেনে নাম নির্বাচন করেছি। ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য উজির ব্যাপারী জানান, আমি তার কাছে কোন টাকা পয়সা নেইনি।

এ ব্যাপারে বড়ভিটা ইউপি চেয়ারম্যান খয়বর আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, সকলের উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে উপকারভোগী করা হয়েছে টাকা-পয়সা লেনদেনের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।

এ ব্যাপারে স্বপ্ন প্রকল্পের উপজেলা প্রজেক্ট অফিসার তোফাজ্জল হোসেন জানান, অনিয়মের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। যদি কোনো প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতি হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত করে দেখা হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!