• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘স্বাধীন মত প্রকাশ বন্ধে ডিজিটাল আইন হয়নি’


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ১৫, ২০১৮, ১০:৫৯ পিএম
‘স্বাধীন মত প্রকাশ বন্ধে ডিজিটাল আইন হয়নি’

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, স্বাধীন মত প্রকাশ বন্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা (আইসিটি) আইন করা হয়নি। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা রক্ষাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং জঙ্গি তৎপরতা বন্ধ করতেই এই আইন করা হয়েছে।

রোববার (১৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে দুই দিনব্যাপী বিজনেস প্রসেসিং আউটসোর্সিং (বিপিও) সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আউটসোর্সিং খাতে নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে দেশে তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিজনেস প্রসেসিং আউটসোর্সিং (বিপিও) সম্মেলন।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘স্বাধীন মত প্রকাশ করা একজন মানুষের নাগরিক অধিকার। তবে বিভ্রান্তিকর কোনো খবর বা গুজব দ্বারা যেকোন ব্যক্তি বিশেষত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আক্রান্ত হতে পারে। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর খবর বা বক্তব্য আমরা প্রকাশ করতে পারি না।

তিনি বলেন, বিভ্রান্তিকর খবর বা বক্তব্য স্বাধীন মত নয়, বরং ঘৃণা ছড়াতেই করা হয়ে থাকে। এ ধরণের বিদ্বেষ ছড়ানো বন্ধ হওয়া উচিত। যারা এসব কাজ করছে, অবশ্যই তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’ সাইবার অপরাধ মোকাবেলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি দ্রুত সংসদে পাস করার আহ্বান জানান তিনি।

তরুণদের চাকরির জন্য অপেক্ষায় না থেকে আইটি খাতে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) প্রতিবছর মাত্র তিন থেকে চার হাজার তরুণ-তরুণীকে নিয়োগ দেয়। এর বাইরে বিপুল চাকরিপ্রার্থীরা থেকে যাচ্ছে। আমি তাদের বলব, আপনাদের চাকরির জন্য আর সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর্মসংস্থানের অবারিত সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রশিক্ষণ নিন এবং ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে আইটি সেক্টরে নিজে কর্মসংস্থান করে নিন।’

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০০৮ সালে যেখানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ, বর্তমানে সেই সংখ্যা ৮ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। কেবল গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ানোই নয়, ব্যবহারকারীদের জন্য ইন্টারনেট যেন নিরাপদ হয়, সে জন্যও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৫ সালে যে ব্যান্ডউইডথের দাম ছিল ৭৫ হাজার টাকা, সরকার এখন তা এক হাজার টাকার নিচে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। তিনি জানান, তথ্যপ্রযুক্তির প্রশিক্ষণ প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে পৌঁছে দিতে প্রথমবারের মতো শিশু প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাক্য সভাপতি ওয়াহিদ শরীফসহ দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিদরা।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুই দিনের আয়োজনে দেশি-বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, সরকারের নীতিনির্ধারক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং বিপিও খাতের সঙ্গে জড়িতরা অংশ নিচ্ছেন। এবারের আয়োজনে দেশের আউটসোসিং খাতকে আরও কিভাবে ভালো করা যায় সে বিষয়ে বিশ্বকে জানানো হচ্ছে এবং সরকারের রূপকল্প- ২০২১ বাস্তবায়নে বিপিও খাতের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরা হচ্ছে। বিপিও খাতে দক্ষ ও পর্যাপ্ত জনবল তৈরিও এই সামিটের অন্যতম লক্ষ্য বলে জানান আয়োজকরা।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!