• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পায়নি বাবু নিরঞ্জন


আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি  আগস্ট ৬, ২০১৬, ০৫:৪৫ পিএম
স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পায়নি বাবু নিরঞ্জন

৭১’ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ায় পাকবাহিনীর হাতে নির্মমভাবে নিহত হলেও মুক্তিযোদ্ধা কিংবা শহীদ মুক্তযোদ্ধার তালিকায় ঠাই হয়নি আমতলীর আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের মৃত শরৎ চন্দ্র্র বিশ্বাসের ছেলে বাবু নিরঞ্জন বিশ্বাসের। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযোদ্ধার কোন স্বীকৃতি পায়নি বাবু নিরঞ্জন বিশ্বাস।

প্রগতিশীল পরিবারে জন্ম নেয়া বাবু নিরঞ্জন বিশ্বাস স্বভাবগতভাবেই ছিলেন স্বাধীনচেতা এবং আপসহীন এক প্রগতিশীল যুবক। যত বাধাই আসুক না কেন কোনো কিছুই তা দমন করতে পারে না। ৭১ সালে ২৮ বছরের যুবক বাবু নিরঞ্জন পশ্চিমা হায়েনাদের শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান এবং অস্ত্র হাতে প্রাণ বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পাক বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন। 

নিরঞ্জন বিশ্বাসের ছোট ভাই মনু বিশ্বাস বলেন , মায়ের কাছে শুনেছি আমতলীর আওয়ামীলীগ নেতা জি এম দেলওয়ার হোসেনের সঙ্গে আমার দাদা বাবু নিরঞ্জন বিশ্বাস পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেছে। ১৯৭১ সালে ৪ আগষ্ঠ ভোরে দাদা (নিরঞ্জন বিশ্বাস) আমাদের  গলাচিপার বাসায় আসে। পরে খাবার খেয়ে কিছুক্ষন পর দাদা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আমতলী পানি উন্নয়ন বোর্ড ওয়াপদার পিছনে ব্রিক ফিল্ডে যাবে বলে বাসা থেকে বের হয়ে যান। বিকাল তিনটায় আমাদের  গলাচিপার বাসায় আমতলী থেকে খবর আসে দাদাকে (বাবু নিরঞ্জন বিশ্বস) পাকবাহিনী  ধরে নিয়ে গেছে। 

খোজ খবর নিয়ে জানা যায়, দাদাকে পাক বাহিনীরা পটুয়াখালী পুরাতন জেলখানায় অঅটকে রেখেছে। পরের দিন সকাল বেলা আমাদের বাসার লোকজন জানতে পারে দাদাকে (বাবু নিরঞ্জন বিশ্বাস) পাকবাহিনী হত্যা করেছে। তার লাশটিও আমাদের পরিবার খুজে পায়নি। 

আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জি এম দেলওয়ার হোসেন বলেন, বাবু নিরঞ্জনকে পাকবাহিনী ৪ আগষ্ঠ আমতলী থেকে ধরে  নিয়ে যায় । পরে তাকে পটুয়াখালী পুরাতন জেল খানায়  হত্যা করে পাক বাহিনী। তিনি আঠারগাছিয়া ইউনিয়ন সংগ্রাম কমিটির সাধারন সম্পাদক ছিলেন। বাবু নিরঞ্জনের নাম শহীদ মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা হোক। যাতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের আত্না শান্তি পায়।

বাবু নিরঞ্জন বিশ্বাসের  ছোট ভাই মনু বিশ্বাস তার দাদা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বাবু নিরঞ্জন বিশ্বাসের নাম অর্ন্তভুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম 

Wordbridge School
Link copied!