• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বীকারোক্তি শেষে ভণ্ডপীর কারাগারে


আদালত প্রতিবেদক আগস্ট ৫, ২০১৭, ০৯:৫৪ পিএম
স্বীকারোক্তি শেষে ভণ্ডপীর কারাগারে

ঢাকা: জিন ও ভূত তাড়ানোর নামে তরুণীদের পর্নোভিডিও ধারণ করে প্রতারণা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার কথিত পীর আহসান হাবিব পেয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। 

শনিবার (৫ আগস্ট) ঢাকার মহানগর হাকিম এ কে এম মঈন উদ্দিন সিদ্দিক এর আদালতে এ স্বীকারোক্তি দেন তিনি। পরে তাকে
কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান জানান, ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আজ আসামি পেয়ারকে খিলগাঁও থানার পুলিশ হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামি পেয়ারকে ঢাকা মহানগর হাকিম এ কে এম মঈন উদ্দিন সিদ্দিকের আদালতে হাজির করে পুলিশ।

আদালতের বিচারক নিয়ম অনুসারে স্বীকারোক্তি দেয়া নিয়ে তাকে তিন ঘণ্টা সময় বেধে দেন। বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা সোয়া ৭টা পর্যন্ত আসামি স্বীকারোক্তি দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

গত বুধবার খিলগাঁও থানার পুলিশ আসামি পেয়ারকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে ৭ দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক দুদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে পুলিশের কাউন্টার টেররিজমের সাইবার ক্রাইম ইউনিট আসামি পেয়ারকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, আহসান হাবিব পেয়ার দাওরায়ে হাদিসে পড়াশোনা করেছেন। নিজেকে এএইচপি টিভির সাংবাদিক বলে পরিচয় দিতেন এবং নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ধর্মের কথা বলে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন পেয়ার। সম্প্রতি তিনি নিজেকে পীর দাবি করে জিন তাড়ানোর কথা বলে তরুণীদের নির্যাতন করতেন বলে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন সময় মেয়েদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যৌন উত্তেজক কথা বলে এবং পরে এদের অনেককে নিজ বাসায় এনে প্রতারণা করে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করতেন।

এ ঘটনায় পেয়ারের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন একাধিক ভুক্তভোগী তরুণী।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ

Wordbridge School
Link copied!