• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যার প্রধান আসামি সজীব গ্রেপ্তার


ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি জুলাই ১৭, ২০১৭, ০১:৪৫ পিএম
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যার প্রধান আসামি সজীব গ্রেপ্তার

ঠাকুরগাঁও: সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান খুনের ঘটনায় মূল আসামি সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সজীব দত্তকে নওগাঁ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৭ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেওয়ান লালন আহমেদ। তিনি জানান, খুনের পর গত ৫ দিন ধরে সর্বোচ্চ তথ্যপ্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অভিযুক্ত খুনি যুবলীগ নেতা সজীব দত্তকে নওগাঁ থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

ঠাকুরগাঁও থেকে পুলিশের একটি বিশেষ দল আসামিকে আনার জন্য রওনা দিয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যেই আসামি ঠাকুরগাঁও থানায় পৌঁছাবে বলে আমরা আশা করছি।

এর আগে নিহত মান্নানের ভাই আবু আলী বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও থানায় যুবলীগ নেতা সজীব দত্ত ও  মারুফ হোসেন শান্তসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সজীব দত্তের ভাই পিন্টু দত্ত ও শান্তর ভাই রতনকে আটক করে।

উল্লেখ, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সজীব দত্তের সঙ্গে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অর্থ-বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নানের টেন্ডার ও টোল আদায় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। কয়েকদিন আগে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় যুবলীগ নেতা সজীব দত্ত মান্নানকে পরে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

ওই ঘটনার জের ধরে যুবলীগ নেতা সজীব দত্ত ও শান্তসহ ৪ জন মঙ্গলবার (১২ জুলাই) আব্দুল মান্নানকে শহরের মুন্সিরহাট বিহারীপাড়া এলাকার গলিতে দেখে পেছন থেকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। এক পর্যায়ে মান্নান মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

এ সময় আব্দুল মান্নানকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে এলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুম্মনকে সজীব দত্ত ছুরিকাঘাত করে মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আব্দুল মান্নান ও জুম্মনকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে আনার পথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে পথিমধ্যে মান্নান মারা যান। আর জুম্মনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!