• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্মৃতিতে ভয়াল ১২ জুন


রাঙামাটি প্রতিনিধি জুন ১২, ২০১৮, ০৫:১৭ পিএম
স্মৃতিতে ভয়াল ১২ জুন

রাঙামাটি : রাঙামাটি জেলায় গত বছরের ১২ জুন টানা বর্ষণের মধ্যে নজিরবিহীন পাহাড়ধসে অন্তত ১২০ জন প্রাণ হারান। এর মধ্যে ৭৩ জনই মারা যান রাঙামাটি সদর উপজেলায়। এর বাইরে কাউখালী উপজেলায় ২১ জন, কাপ্তাইয়ে ১৮ জন, জুরাছড়িতে ছয়জন ও বিলাইছড়ি উপজেলায় দুজন নিহত হন। এ ছাড়া এ ঘটনায় আহত হন সর্বমোট ১৯২ জন। ওই ঘটনায় সড়ক ধসে সারা দেশ থেকে রাঙামাটি বিচ্ছিন্ন ছিল ১৭ দিন।  

রাঙামাটি জেলা প্রশাসন গতবারের পাহাড়ধসে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রকাশ করেছিল। তাতে দেখা যায়, রাঙামাটির ১০টি উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ১২ হাজার ৫৫৮টি। তার মধ্যে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি হচ্ছে এক হাজার ২৩১টি। আর আংশিক বিধ্বস্ত হয় ৯ হাজার ৫৩৭টি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, শিল্প কারখানা, মৎস্য খামার, গবাদি পশু, হাঁস মুরগি।

এ ছাড়া ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফসলি জমিও, যার পরিমাণ ১৮ হাজার ৯৯ দশমিক ৩১ হেক্টর। রাস্তাঘাট, ব্রিজ, পর্যটন এবং বেসরকারি ও ব্যক্তি মালিকানার স্থাপনা ও সম্পদ ক্ষতির হিসাব বিবরণী এ তালিকায় ছিল না। তবে সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়ায় বলে ধারণা করা হয়।

গত বারের পাহাড়ধসের পর রাঙামাটির তখনকার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান জানিয়েছিলেন, জেলার যেসব এলাকায় পাহাড়ধসে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, সে সব স্থানে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পূর্ব অনুমতি ছাড়া কেউ বাড়িঘর নির্মাণ করতে পারবে না। এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। জনসাধারণের অবগতির জন্য শহরে মাইকিং করা হয়েছে। তবে চলতি বছরের টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের আতঙ্কের মুখে থাকা মানুষজন বলছেন, সেখানে নতুন বসতি গড়ে উঠেছে।  

ভয়াবহ ধসের পর রাঙামাটি পৌরসদরসহ পুরো জেলায় ৩ হাজার ৩৭৮ পরিবারের প্রায় ১৫ হাজার লোক পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে বলে চিহ্নিত করে জেলা প্রশাসন। তাদের হিসাবে, শুধু রাঙামাটি পৌর সদরের ৯ ওয়ার্ডের ৩৪টি এলাকায় ৬০৯টি পরিবার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে।  

রাঙামাটির বর্তমান জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ বলেন, ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। তিনি বলেন, যারা ঝুঁকি নিয়ে আছে তাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নতুন করে ঘর তুলতে দেওয়া হচ্ছে না।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!