• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ নিয়ে যা বললেন জয়


ফেসবুক থেকে ডেস্ক মে ১১, ২০১৮, ০৫:৩৩ পিএম
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ নিয়ে যা বললেন জয়

ঢাকা : মহাকাশে যাত্রার পথে সব প্রস্তুতি শেষ হলেও শেষ পর্যন্ত উৎক্ষেপণ হয়নি দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ 'বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১'। উড়াল দেওয়ার ঠিক ৬০ সেকেন্ড আগে জানিয়ে দেওয়া হলো স্যাটেলাইটটির উৎক্ষেপণ স্থগিত করার কথা।

তবে এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই বলে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

ফেসবুকে জয় লেখেন, ‘উৎক্ষেপণের শেষ মুহূর্তগুলো কম্পিউটার দ্বারা সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। হিসেবে যদি একটুও এদিক সেদিক পাওয়া যায়, তাহলে কম্পিউটার উৎক্ষেপণ থেকে বিরত থাকে। আজ যেমন নির্ধারিত সময়ের ঠিক ৪২ সেকেন্ড আগে নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটার উৎক্ষেপণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।

স্পেসএক্স সবকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আজ শুক্রবার দিবাগত রাতে একই সময়ে আবারও আমাদের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বহনকারী রকেটটি উৎক্ষেপণের চেষ্টা চালাবে। যেহেতু এই ধরনের বিষয়ে কোনো ঝুঁকি নেয়া যায় না, সেহেতু উৎক্ষেপণের মোক্ষম সময়ের জন্য অপেক্ষা করা খুবই সাধারণ বিষয়, চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।’

স্পেসএক্স জানিয়েছে, বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোররাত ২টা ১৪ থেকে ৪টা ২১ মিনিটের মধ্যে তারা আবার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের চেষ্টা করবে। তবে স্পেসফ্লাইট নাউ নামের একটি মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছে, এদিন আবহাওয়া ৬০ শতাংশ ভালো থাকবে। প্রথমদিন এটা ছিল ৮০ শতাংশ।

টুইটার বার্তায় স্পেসএক্স জানায়, নির্ধারিত সময়ের ৩৫ মিনিট আগে তারা ‘স্বয়ংক্রিয় উৎক্ষেপণ’ বোতাম চালু করে। একই সময় জ্বালানি ও তরল অক্সিজেন ভরা শুরু করে। আগের সংস্করণগুলোয় এটা করা হতো উৎক্ষেপণের ৭৫ মিনিট আগে; কিন্তু মহামুহূর্তের মাত্র এক মিনিট আগে কম্পিউটারের ভেতর থেকে সংকেত আসে কিছু একটা সমস্যা রয়েছে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে স্পেসএক্স জানায়, রকেট ফ্যালকন-৯ ‘ঝুঁকিহীন’ রয়েছে। তারা প্রথমে ১৫ মিনিটের নতুন কাউন্টডাউন ঘোষণা করে; কিন্তু ৪টা ২২ মিনিট আর বেশি দূরে ছিল না। ফলে এদিন উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ না করার সিদ্ধান্ত জানায় স্পেসএক্স।

উৎক্ষেপণ দেখতে কেনেডি স্পেস সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। টেলিযোগাযোগ বিভাগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবং বর্তমান তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ৩০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলও সেখানে ছিল। সেই দলে ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের জন্য আগেই রাশিয়ার ইন্টার স্পুটনিকের কাছ থেকে ২১৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে কক্ষপথ ভাড়া নেওয়া হয়। ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অরবিটাল স্লট পেয়েছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।

স্যাটেলাইটটি নির্মাণ করা হয়েছে ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস ফ্যাসিলিটিতে। নির্মাণ, পরীক্ষা, পর্যালোচনা ও হস্তান্তর শেষে বিশেষ কার্গো বিমানে করে সেটি কেপ কেনাভেরালের লঞ্চ সাইটে পাঠানো হয় গত ৩০ মার্চ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!