• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হকিতে পরিবর্তন আনতে চান রশিদ শিকদার


ক্রীড়া প্রতিবেদক জুলাই ১৩, ২০১৭, ০৭:৪৪ পিএম
হকিতে পরিবর্তন আনতে চান রশিদ শিকদার

ঢাকা: চলতি বছরের অক্টোবরে ঢাকার মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে বসবে এশিয়া কাপ হকির দশম আসর। ৩২ বছর পর আবারও ঢাকায় ফিরছে এশিয় হকির শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। কিন্তু এই মুহুর্তে তার চেয়েও বড় খবর হল বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের (বাহফে) নির্বাচন। সাম্ভাব্য আগামী ১০ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে ঘিরে এরইমধ্যে শুরু হয়েছে উত্তেজনা। সভাপতি পদটি বিমান বাহিনী প্রধানের জন্য নির্ধারিত থাকায় এই পদে নির্বাচন হয়না। তাই সকলের দৃষ্টি থাকে সাধারণ সম্পাদক পদের দিকে। এবার এই পদে হেভিওয়েট দুই প্রার্থী খাজা রহমতউল্লাহ ও আবদুর রশিদ শিকদার। তবে সাজেদ এ এ আদেলের নামও এসেছে।

বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক প্রচারনায় নামলেন সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশি বর্তমান সহ সভাপতি আবদুর রশিদ শিকদার। এদিন তার আমন্ত্রণে রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত একটি রেঁস্তোরায় উপস্থিত হয়েছিলেন হকির সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড় ও সংগঠক। ছিলেন বেশ কয়েক জন কাউন্সিলরও। সকলের উপস্থিতিতে এক মিলনমেলায় পরিনত হয়েছিল অনুষ্ঠানটি। দুপুরের খাবারের পর গণমাধ্যমের কাছে নিজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ তুলে ধরেন রশিদ শিকদার।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক দক্ষতার বড়ই অভাব। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার মানসিকতা কমে গেছে। যারা হকিকে ভালোবাসেন, শ্রম ও অর্থ বায় করেন সেই সব মুরব্বি হকির বর্ষীয়ান হকির মাঠকেন্দ্রিক তাদেরকে একত্র করাই হচ্ছে আমার মূল লক্ষ্য। আমরা যদি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা না করি, তাহলে আরও বড় ব্যবধানে হারতে হবে। একমাত্র বিকেএসপি ছাড়া আমাদের ফেডারেশনের উন্নয়নমূলক কাজগুলো কোথায়। আমরা বারী ভাইয়ের সময়ে উপজাতীয় এলাকায় গিয়েছি রাঙামাটি গিয়েছে। সারা বছর কোন খোঁজ নিলাম না কেবল টুর্নামেন্টের সময় ডাকলাম, সেটা ঠিক নয়।’

রশিদ শিকদার বলেন, ‘আমি ঊষা ক্রীড়া চক্রের ১৬ বছর সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। হকি ফেডারেশনের সদস্য ২০০১ থেকে পরবর্তীতে ট্রেজারার ও যুগ্ম সম্পাদকও ছিলাম। কখনও ক্লাব নিয়ে ভাবিনি। যখন ফেডারেশনে থাকি তখন ক্লাব নিয়ে কেন ভাববো। যতদিনই ফেডারেশনে ছিলাম কেউ বলতে পারবে না আমি ক্লাব নিয়ে কথা বলেছি। হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের যে চেয়ার রয়েছে তা নোঙর। বিশাল জাহাজের নোঙর। তার যে নোঙরটা (সম্পদাক পদটি) সে যেন সেই নোঙরটি রক্ষা করতে পারে। আশা করি ওই চেয়ারের মর্যাদা রাখতে পারবো।’

সমঝোতার প্যানেল সম্ভাবনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘খাজা রহমতউল্লাহ সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আবার এ্যাডহক কমিটিতেও ছিলেন। কিন্তু তিনি যদি সমঝোতার কথা বলেন, তাহলে আসতে তো পারেন আমাদের সঙ্গে। কারণ আমরা সবাই কাজ করার জন্য এসেছি। নতুন উদ্যোগে কাজ করতে চাই। যারা কাজ করতে ইচ্ছুক তাদেরকে আমরা বাদ দিতে চাই না। ৩১ জনের কমিটি। কিন্তু হকি চালাতে হলে শুধুমাত্র ৩১ জনকে দিয়ে চলবে না। কারণ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট ছাড়া হকিতে পদচারণা নেই বাংলাদেশের। আগে শামসুল বারী ভাইয়ের সময়ে দেখতাম ক্লাব কর্মকর্তারা ওনার রুমে ভিড় করে বসে আছেন। কিন্তু এখন তার উল্টো চিত্র। সেই সময় ফেরাতেই আমরা কাজ করছি।’

নির্বাচন এশিয়া কাপে দলে কোন প্রভাব ফেলবে কি? এর উত্তরে রশিদের বলেন, ‘সেটা পড়বে না। আমি এশিয়ান হকি ফেডারেশনেরও সদস্য। সেখানকার প্রথম সভা থেকেই বাংলাদেশে যেন এশিয়া কাপ আনতে পারি সেই চেষ্টা করেছি। নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে তারা যেন নিতে পারে তা বলেছি।  ফ্লাডলাইট বসাতে বলেছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে তা বসাচ্ছি। নির্বাচনে কোন ব্যাঘাত ঘটবে না। এশিয়া কাপের সঙ্গে নির্বাচনের কোন সম্পর্ক নেই।’

দলবদল ও লীগ ঠিক সময়ে হবে কিনা? ‘দীর্ঘদিনের অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, যার যার কাজ তাকে স্বাধীনতা দিয়ে কাজ দিতে হবে। সেখানে হস্তক্ষেপ ঠিক নই। কোচিংয়ের কাজ কোচ করবেন। নির্বাচক কমিটির কাজ নির্বাচক কমিটি করবেন। কিসমত, কামাল, তপন তারা হকির সদস্য। অথচ তাদেরকে আমরা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছি। তারা তালিকা করলে তালিকার মধ্যে থেকে যায়।

রশিদ বলেন, ‘এশিয়া কাপে তো আমাদের কোয়ালিফাই করে খেলার কথা নয়। অথচ খেলতে হবে। সেখানে জিতে উল্লাসও করছি। যদিও আগে আমরা সরাসরি খেলতাম। আমরা যেন সরাসরি খেলতে পারি। তখনই খেলতে পারবো যখন বয়সভিত্তিক দলগুলো শক্তিশালী হবে। আমার প্রথম টার্গেট থাকবে এশিয়া কাপে সরাসরি যেন খেলতে পারি। জাপান, চীন ও ওমানকে টার্গেট নিয়ে কাজ করতে পারলে সরাসরি খেলতে পারবো। যদিও মালয়েশিয়া অনেক ওপরে চলে গেছে।’

হকি ফেডারেশনের সাধারণ পরিষদের মোট কাউন্সিলর ৮৬। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪১ জন জেলা ও বিভাগের। প্রিমিয়ার, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের ক্লাব ৩১টি, সার্ভিসেস ৪টি, এনএসসি ৫টি, বিকেএসপি, মহিলা ক্রীড়া সংস্থা, আম্পায়ার্স বোর্ড, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের একজন করে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!