• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হঠাৎ হাড় কাঁপানো শীত


রাজশাহী প্রতিনিধি ডিসেম্বর ৬, ২০১৬, ০৮:২৪ পিএম
হঠাৎ হাড় কাঁপানো শীত

রাজশাহী : রাজশাহীতে হঠাৎ বেড়েছে শীতের তীব্রতা বেড়েছে, তীব্রতা এত বেশি যে হাড় পর্যন্ত কাঁপিয়ে দিচ্ছে। এক দিনের ব্যবধানে দিনের সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা কমেছে ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শীতের তীব্রতা ধীরে ধীরে বাড়বে। এ মাসের একাধিক শৈত্য প্রবাহ আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে আবহাওয়া ভালো থাকলেও মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই পড়ছে হীম কুয়াশা, সঙ্গে প্রবল বাতাস। হঠাৎ নেমেছে হাড় কাঁপানো শীত। এতে ভোগান্তি বাড়ছে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের। সকাল থেকেই ভীড় বেড়েছে গরম কাপড়ের দোকানে। এরই মধ্যে দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করছে জেলা প্রশাসন।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) রাজশাহীতে সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সঙ্গে ছিলো কুয়াশা ও প্রবল বাতাস। এদিন সূর্য দেখা গিয়েছে সাড়ে ১১টার দিকে।

গত ৪ নভেম্বর রাজশাহীতে সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৮ দশমিক ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন তাপমাত্রা কমেছে আরো ২ দশমিক ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কমেছে রাত ও দিনের তাপমাত্রা। তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমে আসবে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, ডিসেম্বর জুড়েই রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাবে। ডিসেম্বরের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি শীত অনুভূত হবে আগামী জানুয়ারীতে। ওইসময় এ অঞ্চলে এক থেকে দুটি তীব্র (৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস)) শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

এদিকে, হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। শীত নিবারনের প্রস্তুতি নেই তাদের। সামর্থ নেই শীতবস্ত্র কেনারও। এখন তারা তাকিয়ে রয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি সহায়তার দিকে। আর যারা পারছেন সাধ্যমত কেনাকাটা করছেন ফুটপাতের দোকানগুলোতে। আগামীতে শীতের তীব্রতা বাড়লে ভোগান্তির শেষ থাকবেনা অসহায় এসব মানুষের।

তবে শীতার্তদের সহায়তায় এরই শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। উপজেলা পর্যায় থেকে ডিসেম্বরর শুরু থেকেই বিতরণ শুরু হয়েছে। গত নভেম্বরে এগুলো উপজেলাগুলো পৌঁছে যায়।

জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তার দপ্তরের হিসেবে, জেলায় শীতার্তদের জন্য ১৩ হাজার ৫৩৮ পিস কম্বল বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে গোদাগাড়ীতে ২ হাজার ৬৬২ পিস, পবায় ১ হাজার ৯৭১ পিস, বাগমারায় ১ হাজার ৯৫৮ পিস, তানোর ১ হাজার ৩৫২ পিস, চারঘাটে ১ হাজার ২৯৬ পিস, বাঘায় ১ হাজার ২৪৫ পিস, পুঠিয়ায় ১ হাজার ১৩৬ পিস, দুর্গাপুরে ১ হাজার ৬ পিস এবং মোহনপুরে ৯১২ পিস। এর বাইরেও জেলা পরিষদ থেকেও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে কম্বল। তবুও এ সহায়তা প্রয়োজনের তুলনায় সীমিত। শীতার্তদের সহায়তায় বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা আলাউদ্দিন। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!