• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হত্যাকারীদের ধরতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬, ০৯:৪১ পিএম
হত্যাকারীদের ধরতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

ঢাকা: গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৩১) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের নিজ বাড়ি শাহাবাগে মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার খবরের পর শোক জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। খুনিরা যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।

শনিবার (৩১) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বিদায়ী বছরের শেষ মুহূর্তে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের নিজ বাড়ি শাহাবাগে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় এমপিকে নেয়া হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এমপি লিটন।

মাগরিবের নামাজের পরপর মোটর সাইকেলে অজ্ঞাতপরিচয় তিন যুবক বাড়িতে ঢুকে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায় বলে জানান সংসদ সদস্যের স্ত্রী সৈয়দা খুরশিদ জাহান।

গুলিবিদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্যকে রংপুর মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. বিমল চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের জানান, এমপি লিটনকে বাঁচানোর চেষ্টায় তারা সফল হননি। লিটনের বুকের বাম দিকে দুটো এবং বাম হাতে একটি গুলি লেগেছিলো।

তবে কে বা কারা তাকে গুলি করেছে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান। তিনি বলেন, কে বা কারা কেন ও কী কারণে তাকে গুলি করেছে তা জানা যায়নি।

ঘটনার পর লিটন সমর্থকরা বামনডাঙ্গা-নলডাঙ্গা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছে। ৪৮ বছর বয়সী মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন এবারই প্রথম সংসদ সদস‌্য নির্বাচিত হন। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার (মেরিন) লিটন আনন্দ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক ছিলেন।

২০১৫ সালের ২ অক্টোবর সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের গোপালচরণ এলাকায় এমপি লিটনের পিস্তলের গুলিতে আহত হয় গোপালচরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শাহাদত হোসেন সৌরভ (১২)। এ ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় ওঠে।

পরদিন ৩ অক্টোবর শিশু সৌরভের বাবা সাজু মিয়া বাদী হয়ে এমপি লিটনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের ১২দিন পর ঢাকার উত্তরা এলাকা থেকে পুলিশ এমপি লিটনকে গ্রেপ্তার করে। গাইবান্ধা জেলা কারাগারে ২৪ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পান বিতর্কিত ওই এমপি।

এদিকে ঘটনার পর লিটন সমর্থকরা বামনডাঙ্গা-নলডাঙ্গা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম
 

Wordbridge School
Link copied!