• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

হলুদের গুণাগুণ ও সৌন্দর্য চর্চায়


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ৬, ২০১৬, ০৫:০৫ পিএম
হলুদের গুণাগুণ ও সৌন্দর্য চর্চায়

সোনালীনিউজ ডেস্ক

হলুদ একটি ভেষজ উপাদান যা আদা গোত্রীয়। এই হলুদ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানাভাবে কাজে লাগে। ওষুধ হিসেবে, রান্নায়, আচার-অনুষ্ঠানে, এমনকি রুপচর্চায়ও হলুদ ব্যবহার হয়। হলুদের ইতিহাস ঘেটে দেখা গেছে, হাজার বছর আগে থেকে ভারতেই সর্বপ্রথম হলুদের চাষ হয়। এরপর সময়ের বিবর্তনে পাকিস্তান ও অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোতে হলুদের ব্যবহার বিস্তৃতি লাভ করে। হলুদ আগে শুধুমাত্র রঙের জন্য ব্যবহার করা হত, পরে খাবারে এবং ঔষধি হিসেবে বেশি ব্যবহার করা হয়।

হলুদ আমাদের খাবার রান্নার একটি প্রধান উপাদান। এছাড়াও আয়র্বেদিক এবং চায়নিজ মেডিসিনে হলুদ ব্যবহার করা হয় শরীরের ভিতরে ও বাইরের রোগের ইনফেকশন প্রতিরোধে। হলুদ আমাদের আর কি কি উপকার করে থাকে তা দেখে নিইঃ

হলুদের গুণাগুণ-
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, হলুদ একটি প্রাকৃতিক বিস্ময়। অ্যাজমা থেকে শুরু করে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক ব্যাধিতেও হলুদ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

-সাধারণ কাঁটাছেঁড়ায় হলুদ এন্টিসেপ্টিকের কাজ করে।

-যখন ফুলকপির সাথে হলুদ মিশিয়ে খাওয়া হয় তখন তা গ্লান্ড ব্লাডারে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

-ব্রেস্ট ক্যন্সার লাংস পর্যন্ত যাতে ছড়াতে না পারে তা প্রতিরোধ করে হলুদ।

-এটা শৈশবে লিউকমিয়ার ঝুঁকি কমায়।

-চাইনিজরা বিষণ্ণতা কমাতে অনেক আগে থেকেই হলুদের ভেষজ চিকিৎসা করে আসছে।

-ক্ষতিগ্রস্থ ত্বক বা যাদের ত্বকে অ্যালার্জির প্রকোপ বেশি তা কমাতে এবং নতুন কোষ গঠনেও হলুদ উপকারী।

-লিভার ড্যামেজ যা একসময় সিরোসিসে রূপ নেয় তা প্রতিরোধে হলুদের উপকার অনস্বীকার্য।

-রিসার্চে প্রমাণিত হয়েছে, হলুদের মাধ্যমে পুর্ব চিকিৎসা নেয়া হলে তা ক্যান্সার সেল কে দুর্বল করে দেয় এবং এতে করে ক্যন্সার সহজে ছড়াতে পারেনা।

এ তো গেল হলুদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে বা রোগ প্রতিরোধে সহায়তার কথা। কিন্তু হলুদের ব্যবহার এখানেই শেষ না। হলুদ সুস্বাস্থ্য রক্ষায়ও যথেষ্ট উপকারী। প্রতিদিনের খাবারে হলুদের ব্যবহার একটা নতুন মাত্রা যোগ করে ও স্বাদও বাড়ায়। স্ট্রেস কমাতে বা হঠাৎ দুর্বল লাগলে বা জ্বর হলে দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খেলে যথেষ্ট উপকার পাওয়া যায়।

সৌন্দর্য চর্চায়-

হলুদ ফেস প্যাক হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। আপনি চাইলে কাঁচা হলদু বেটে অথবা পাউডার হলুদ মিক্স করেও ফেস প্যাক বানাতে পারেন।

-প্রথমে ২ চামচ ময়দার সাথে দই ও অল্প একটু হলুদ ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে লাগান। যখন দেখবেন শুকিয়ে আসছে তখন মুখের চারপাশে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে স্ক্রাব করুন। হলুদ আপনার ত্বকের ব্রণ নিরসনে সাহায্য করবে যা তৈলাক্ত ত্বকে হওয়ার প্রধান কারন। যখন আপনি এই মিক্সটিকে স্ক্রাবারের মতো ব্যবহার করবেন এটা আপনার ত্বকের মৃত কোষকে দূর করতেও সাহায্য করবে।

-আপনার ত্বক যদি শুষ্ক হয় তাহলে আপনি ডিমের সাদা অংশের সাথে কয়েক ফোটা লেবুর রস , গোলাপ জল ও একটু অলিভ অয়েল এবং এর সাথে এক চিমটি হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। তারপর আপনি প্যাকটি মুখে লাগান, আপনার কনুই বা গোড়ালিও যদি শুস্ক হয় তাহলে সেখানেও এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহারের পর এটি পুরোপুরি শুকাতে দিন এবং শুকানোর পর কসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ত্বকের আর্দ্রতা বাড়াবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!