• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে বেরোবিতে নিয়োগ


নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর এপ্রিল ২৩, ২০১৭, ১১:১৬ এএম
হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে বেরোবিতে নিয়োগ

রংপুর: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ না করায় হাইকোর্টের তিন মাসের জন্য নিয়োগ স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে রেজিস্ট্রারকে না জানিয়েই উপাচার্যের বিরুদ্ধে ফের নিয়োগ কার্যক্রম শুরুর অভিযোগ উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর ১১৮টি পদের নিয়োগ কার্যক্রমে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ না করায় একজন শিক্ষকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এ প্রক্রিয়ার ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেন।

একইসঙ্গে চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ব্যত্যয় ঘটানো কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।

তবে হাইকোর্টের তিন মাসের জন্য নিয়োগ স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রারকে না জানিয়েই গত শুক্রবার একটি দৈনিকে ‘সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’ প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত তিনটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেখানে কোটা সংরক্ষণের বিষয়টি উল্লেখ ছিল না। যে সকল প্রার্থী কোটায় আবেদন করতে ইচ্ছুক, তাদের আগামী ২৮ এপ্রিল তারিখের মধ্যে আবেদন করার জন্য দরখাস্ত আহ্বান করা হলো। বিধি অনুযায়ী সকল কোটা সংরক্ষণ করা হবে। যারা পূর্বে আবেদন করেছেন, তাদের পুনরায় আবেদন করার প্রয়োজন নেই।’

পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইব্রাহীম কবীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে তিনি জানেন না।

তবে এতে হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী গত ৫ এপ্রিল সকল নিয়োগ স্থগিত করা হয়। তবে এই সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে উপাচার্যই ভালো বলতে পারবেন।

এ ব্যাপারে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম নূর-উন-নবীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান প্রধান হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

পরদিন ৪ এপ্রিল বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তিন মাসের জন্য এ নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেন।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!