• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

হান্নানের প্রাণভিক্ষা আবেদনের নাকচ চিঠি কারাগারে


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ১০, ২০১৭, ০৯:৫৭ পিএম
হান্নানের প্রাণভিক্ষা আবেদনের নাকচ চিঠি কারাগারে

ফাইল ছবি

ঢাকা: ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তিনজনকে হত্যার মামলায় মৃতদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জঙ্গিনেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুলের প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি নাকচ করার চিঠি পৌঁছেছে কারাগারে।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের জ্যেষ্ঠ সুপার মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে সরকারি কোনো নির্বাহী আদেশ তারা এখনো পায়নি।

এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, মুফতি হান্নান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার যে আবেদন করেছিলেন তা খারিজ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। কারাগার এখন হান্নানের ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, চিঠিতে জেলকোড অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এখন বিধি মোতাবেক তাদের ফাঁসি কার্যকরের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে এক চিকিৎসক মুফতি হান্নানের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন বলে জানান, জ্যেষ্ঠ সুপার মিজানুর। কারা কর্তৃপক্ষ এই চিঠি পাওয়ার পর ফাঁসি কার্যকরে আর কোনো বাধা নেই।

ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তিনজনকে হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়ায় অপরাধ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রার্থনাই ছিল মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গির প্রাণ বাঁচানোর শেষ সুযোগ।

সেই সুযোগ নিতে গত ২৭ মার্চ কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিলেন তারা।

পরে সেই ক্ষমার আবেদন কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে যায় আইন মন্ত্রণালয়ে। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে তা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে যায়। রাষ্ট্রপতি তার সিদ্ধান্ত দেয়ার পর ওই নথি ফিরে আসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে হান্নান ও বিপুলের প্রাণ ভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি নাকচ করার চিঠি কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়।

অপর জঙ্গি দেলোয়ার হোসেন রিপনেরও প্রাণ ভিক্ষার আবেদন নাকচ করেছেন রাষ্ট্রপতি। সিলেট কারাগারে থাকা রিপনের চিঠি সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৩টা পর্যন্ত সিলেটে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ কারাগার সুপার ছগির মিয়া।

২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (রা.) মাজারে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন।

ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!