• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারলোনা বাংলাদেশ


ক্রীড়া প্রতিবেদক মার্চ ৮, ২০১৮, ১১:৫৬ পিএম
হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারলোনা বাংলাদেশ

ফাইল ছবি

ঢাকা: নাহ হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারলোনা তামিম-মোস্তাফিজরা। নিদাহাস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে বড় হার দিয়ে যাত্রা শুরু করলো বাংলাদেশ দল। এ নিয়ে টানা সপ্তম হারের তেতো স্বাদ পেল মাহমুদউল্লাহর রিয়াদের দল। এর আগে ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজ, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে টানা ৬ষ্ঠ্য পরাজয় গুনেছিল টাইগাররা।   

বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ম্যাচের আগেই হারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টস নামের ভাগ্য পরীক্ষায় হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৩৯ রান তুলতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। জবাবে নির্ধারিত ওভারের ৮ বল বাকী থাকতে ৬ উইকেটে জয় তুলে নেয় ভারত। টুর্নামেন্টে এটি তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম জয়। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছিল রোহিত শর্মার দল।  

এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরুর আভাস দিয়েছিলেন ওপেনিং-এ তামিম ইকবালের সঙ্গী সৌম্য সরকার। ১টি করে চার ও ছক্কায় শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু নিজের ১২তম বলেই ভারতের পেসার জয়দেব উনাদকতের শিকার হতে ১৪ রান করা সৌম্যকে। দ্বিতীয় উইকেটে লিটন দাসের সাথে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন তামিম। কিন্তু সফল হতে পারেননি তামিম। জুটিতে ১৫ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি। তামিম নিজেও ১৫ রান করেন। তার ইনিংসে ২টি চার ছিলো।

দলীয় ৩৫ রানে তামিমের বিদায়ের পর বাংলাদেশের রানের চাকা সচল রাখেন লিটন ও সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। মারমুখী মেজাজেই ছিলেন তারা। তাই এই জুটির কাছ থেকে ২৩ বলে ৩১ রান পায় বাংলাদেশ। ১৪ বলে ১৮ রান করা মুশফিকুরের বিদায়ে ভাঙ্গে এই জুটি। তার ইনিংসে ২টি চার ও ১টি ছক্কার মার ছিলো।

মিডল-অর্ডারে নিজের দায়িত্বটা পালন করতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ৮ বল মোকাবেলা করে মাত্র ১ রান করেন তিনি। তার বিদায়ে ক্রিজে লিটনের সঙ্গী হন সাব্বির রহমান। রান তোলার কাজটা ভালোভাবেই করছিলেন লিটন-সাব্বির। দু’জনের ব্যাটে চড়ে শতরানের কোটা পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ।

কিন্তু বাংলাদেশের স্কোর তিন অংকে পৌঁছানোর পরই থেমে যেতে হয় লিটনকে। ৩টি চারে ৩০ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন তিনি। ২৭ বলে ৩৫ রান যোগ করেন লিটন-সাব্বির। লিটনের মত সাব্বিরও ছোট এবং কার্যকরী ইনিংস খেলেন। তবে তার কাছ থেকে আরও বড় ইনিংস আশা করেছিলো বাংলাদেশ। কারন ইনিংসের শেষদিকে বাংলাদেশের শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান ছিলেন সাব্বিরই। কিন্তু ইনিংসের ৭ বল বাকী থাকতেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় সাব্বিরকে। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৬ বলে ৩০ রান করেন সাব্বির।

শেষ পর্যন্ত তাসকিন আহমেদের অপরাজিত ৮, মেহেদি হাসান মিরাজের ৩ ও মুস্তাফিজুর রহমানের অপরাজিত ১ রানে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৯ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ভারতের পক্ষে উনাদকত ৩টি ও বিজয় শংকর ২টি উইকেট নেন।

১৪০ রানের লক্ষ্যে মারমুখী মেজাজেই শুরু করেন ভারতের ওপেনার ও অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনটি বাউন্ডারিতে দলের স্কোর ৩ ওভারে ২৭ রানে নিয়ে তিনি। তবে চতুর্থ ওভারেই থেমে যায় রোহিতের ইনিংস। বাংলাদেশের বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের ডেলিভারিতে বোল্ড হন তিনি। ১৩ বলে ১৭ রান করেন রোহিত।

তিন নম্বরে ব্যাট করার সুযোগটা ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারেননি ঋসভ পান্থ। বাংলাদেশের পেসার রুবেল হোসেনের শিকার হয়ে ৮ বলে ৭ রান করেন তিনি। দলীয় ৪০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর দলকে ভালো অবস্থায় নিয়ে যান আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও চার নম্বরে ব্যাট হাতে নামা সুরেশ রায়না। ৫৪ বলে ৬৮ রান যোগ করেন তারা। এতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নেয় ভারত।

রুবেলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে রায়না ২৭ বলে ২৮ রান করে ফিরলেও, টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন ধাওয়ান। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯০ রান করা ধাওয়ান এবার থামেন ৫৫ রানে। ৪৩ বল মোকাবেলা করে ৫টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন তিনি।

শেষদিকে মনিষ পান্ডিয়া অপরাজিত ২৭ ও দিনেশ কার্তিক অপরাজিত ২ রান করে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন। বাংলাদেশের পক্ষে রুবেল ২টি উইকেট নেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!