• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুফতি হান্নানসহ ৩ জঙ্গির ফাঁসি বহাল


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৭, ২০১৬, ০৯:৫০ এএম
মুফতি হান্নানসহ ৩ জঙ্গির ফাঁসি বহাল

ঢাকা: প্রাক্তন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা ও তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় হরকাতুল জিহাদের প্রধান মুফতি আবদুল হান্নানসহ ৩ জঙ্গির ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষস্থানীয় নেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও হুজির সিলেট অঞ্চলের সংগঠক শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। মাত্র এক মিনিটে প্রধান বিচারপতি ৩ বার ‘ডিসমিস’ বলে এই রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী ও হেলাল উদ্দিন মোল্লা।

পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করা হবে। নিয়মানুযায়ী আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে আসামিরা রিভিউ আবেদন করতে পারবেন।

এই মামলার যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ এবং মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালের আপিল না করায় তাদের দণ্ডও বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি জেল আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে মুফতি হান্নানসহ তিনজনের ফাঁসি ও দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা দুই আসামি মুফতি আবদুল হান্নান ও শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল আপিল করেছিলেন।

উল্লেখ্য, মুফতি হান্নান নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজি-বি) শীর্ষস্থানীয় নেতা। তাঁর পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় বাংলাদেশে উগ্র জঙ্গিবাদ ও নাশকতা বিস্তৃত হয়েছে। ২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাস্থলের কাছে বোমা পুঁতে রাখার ঘটনায় প্রথমবারের মতো তিনি আলোচনায় আসেন। ২০০১ সালে রমনা বটমূলে বোমা হামলা, ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা কিংবা ২০০৫ সালে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার মতো উল্লেখযোগ্য নাশকতার ঘটনার অন্যতম সংগঠন ও পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই মুফতি হান্নান। তাঁরই পরিকল্পনায় ২০০৪ সালের ২১ মে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে।

২০০৪ সালের ২১ মে নবনিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী সিলেটে গেলে হজরত শাহজালালের (র.) মাজার জিয়ারত করতে যান। সেখানে দরগাহ মসজিদে জুমার নামাজ আদায় শেষে বের হওয়ার সময় প্রধান ফটকের কাছে তাঁকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ভয়ংকর ওই হামলায় তিনজন নিহত হন। আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসক আবুল হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল হাই খানসহ প্রায় ৭০ জন আহত হন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!