• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হেফাজতের সঙ্গে এরশাদের দ্বিমত


নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর মার্চ ১৭, ২০১৭, ০৮:২৪ পিএম
হেফাজতের সঙ্গে এরশাদের দ্বিমত

রংপুর: ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জোট বাঁধার ঘটনা নিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। একই সঙ্গে দেশের অরাজনৈতিক বৃহৎ ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশকে মাঠে নিয়ে আসার গুঞ্জনও রয়েছে।

রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন আলোচনা যখন ডালপালা ছড়াচ্ছে তখন হেফাজতে ইসলামের দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বসলেন সংগঠনের আমির শাহ আহমদ শফীর ‘আশির্বাদধন্য’ জাপা চেয়ারম্যান। এ নিয়ে বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে।

গেল বছর ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের মূল ফটকের সামনে ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়। যেটি নির্মাণ করেছেন ভাস্কর মৃণাল হক। ভাস্কর্যটি একজন নারীর। তা ডান হাতে নিচের দিকে করা একটি তলোয়ার আর বাম হাতে দাঁড়িপাল্লা নিয়ে দাঁড়ানো। এই ভাস্কর্য স্থাপনের পর থেকেই বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন তা অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছে।

সর্বশেষ গেল ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই ভাস্কর্যকে ‘গ্রিক দেবির মূর্তি’ আখ্যায়িত করে তা অপসারণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতিকে স্মারকলিপি দেয় হেফাজতে ইসলাম।

এ প্রসঙ্গে হেফাজত ঢাকা মহানগরের সভাপতি মাওলানা নূর হোসেন কাসেমীর দাবি ছিল, আশা করছি সরকার জাতীয় ইদগাহের পাশে কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে মূর্তি সরাবে। না সরালে দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হবো।’

এ ঘটনার কদিন আগে ২ ফেব্রুয়ারি ‘মূর্তি’ অপসারণের জন্য আবেদন করেন আওয়ামী ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ আবুল হাসান শেখ শরিয়তপুরী।

তবে সুপ্রিম কোর্টের সেই ‘মূর্তি’ অপসারণ প্রসঙ্গে হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে এবার সরাসরি দ্বিমত প্রকাশ করলেন এরশাদ। শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুরে পাঁচদিনের সফরে রংপুরের নগরীর দর্শনা মোড়ের পল্লী নিবাস বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই দ্বিমত পোষণ করেছেন।

এ সময় জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ বলেন, ‘সুপ্রিমকোর্টের সামনে স্থাপিত মূর্তি গ্রিক দেবির নয়। হেফাজতে ইসলাম গ্রিক দেবির মূর্তি অপসারণের যে দাবি তুলেছে তার সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করছি।’

চলতি মাসেই পাঁচটি নিবন্ধিত দলসহ ২৫টি দল নিয়ে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে নতুন জোট আত্মপ্রকাশ করার কথাও জানান জাপা চেয়ারম্যান। জাপার নেতৃত্বাধীন এই জোটে হেফাজতে ইসলামও যোগ দিতে পারে বলে গুঞ্জন ছিল। এর বাইরে ধর্মভিত্তিকসহ ১০ থেকে ১২টি রাজনৈতিক দলের কথাও বলা হচ্ছিল।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফীর দোয়া নিয়েছিলেন জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ। জাপা ক্ষমতায় গেলে হেফাজতের ১৩ দফা মানার চেষ্টা করবে বলেও সে সময় তথ্য দিয়েছিলেন হেফাজতে মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে এরশাদের মাথায় পরম মমতায় হাত বুলিয়ে দিতেও দেখা গেছে।

তথ্যমতে, এরশাদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ওইদিন চট্টগ্রামের দারুল উলুম মইনুল ইসলাম (হাটহাজারী বড় মাদরাসা) মাদরাসায় হেফাজতের প্রধান কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে তারা প্রায় ৫০ মিনিট রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছিলেন। ওই বৈঠকেই তাদের জোট বাঁধার আগামী পরিকল্পনা ছিল বলে ইঙ্গিত করছেন বিশ্লেষকরা।

হেফাজতকে মাঠে আনছেন এরশাদ
ধর্মভিত্তিক জোট ‘পাকাচ্ছেন’ এরশাদ

সোনালীনিউজডটকম/এন

Wordbridge School
Link copied!