• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হেরেও মন জিতলেন মডরিচ, পেলেন গোল্ডেন বল


ক্রীড়া ডেস্ক জুলাই ১৬, ২০১৮, ১২:৪৬ এএম
হেরেও মন জিতলেন মডরিচ, পেলেন গোল্ডেন বল

ঢাকা: ঘটন-অঘটনের বিশ্বকাপে তলিয়ে গেছে অনেক নামী তারকা। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকাপের পুরস্কারের তালিকায় দেখা যাচ্ছে নতুনদের জয়জয়কার। যেখানে সবার মন জিতে নিয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার লুকা মডরিচ। দল হারলেও তিনিই পেয়েছেন সবচেয়ে মূল্যবান পুরস্কার গোল্ডেন বল।

গোল্ডেন বল (লুকা মডরিচ): বিশ্বকাপের ট্র্যাজিক নায়ক হিসেবেই রয়ে গেলেন ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক লুকা মডরিচ। ৪২ লক্ষ ক্রোটরা যাঁকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছিলেন তিনি ফাইনালে দলকে জেতাতে না পারলেও, রাশিয়া বিশ্বকাপ মনে রাখবে তাঁকে। কার্যত একার হাতে রক্ষণ থেকে আক্রমণ সব সামলে ক্রোয়েশিয়াকে ফাইনালে তোলার কৃতিত্বও তো নেহাত কম নয়। তাছাড়া আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে তাঁর বিশ্বমানের গোলটিও ভোলার নয়। বিশ্বকাপের পরিসংখ্যান বলছে মডরিচ গোল করেছেন দুটি। তাঁর নামে অ্যাসিস্ট রয়েছে আরও একটি। কিন্তু খালি পরিসংখ্যানে হয়তো বোঝা যাবে না বিশ্বকাপে ক্রোটদের স্বপ্নের দৌড়ের পেছনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল মডরিচের ভূমিকা।

ইয়ং প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার (কিলিয়ান এমবাপ্পে): বিশ্বকাপের আবিষ্কার ফ্রান্সের ১৯ বছরের তরুণ। তারুণ্যের দীপ্তি, দুর্দান্ত ড্রিবল, নিখুঁত পাসিং আর সর্বোপরি গতি। কিলিয়ান এমবাপ্পে যেন পারফেক্ট প্যাকেজ। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই একের পর এক রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। বলা ভালো গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। ফুটবল দুনিয়া যা মেসি, রোনালদো বা নেইমারদের পা থেকে দেখার প্রত্যাশায় ছিল, সেসব নৈপুণ্য যেন একাই দেখিয়ে দিলেন ১৯ বছরের তরুণ। গ্রুপ পর্বে খুব একটা নজর না কাড়লেও নকআউটে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে জয়ের ম্যাচে প্রথম নায়কের ভূমিকায় উঠে আসেন ১৯ বছরের তারকা স্ট্রাইকার। তারপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। নকআউটের পর তাঁর সেই ট্রেডমার্ক স্প্রিন্ট দিয়েই ফিফার সেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার দখল করে নিলেন এমবাপ্পে।

গোল্ডেন বুট(হ্যারি কেন): ইংল্যান্ড সমর্থকেরা অবশেষে বলতে পারবেন, ‘ইট ইজ কামিং হোম’। কারণ বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে না গেলেও অন্তত একটি পুরস্কার ঘরে তুলছেন থ্রি-লায়ন্স অধিনায়ক হ্যারি কেন। রাশিয়ার মাটিতে মোট ৬টি গোল করে এবারের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পকেটে পুরলেন হ্যারি। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করলেন বেলজিয়ামের রোমেলু লুকাকু। কেন যে ছয়টি গোল করেছেন তাঁর মধ্যে ৩টি গোল তিনি করেন পেনাল্টি স্পট থেকে। আর একটি গোল অন্যের শট তাঁর পায়ে লেগে বিপক্ষের জালে জড়িয়ে যায়।

গোল্ডেন গ্লাবস(থিবাউ কুর্তোয়া): বিশ্বকাপ তারকা চেনায়। নুয়্যার, দে হেয়াদের মতো নামী গোলরক্ষকদের ভিড়ে বেলজিয়ামের কুর্তোয়ার সেরার শিরোপা জয় তারই প্রমাণ। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে ইডেন হ্যাজার্ডের দেশ। কিন্তু হ্যাজার্ড, লুকাকু, ডি ব্রুইনদের ভিড়ে নিঃশব্দে নিজের কাজ করে গিয়েছেন বেলজিয়াম দুর্গের সর্বশেষ প্রহরী। বিশেষ করে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে তাঁর অনবদ্য পারফরম্যন্স কিছুতেই ভোলার নয়। বিশ্বকাপের ৭ ম্যাচের মধ্যে চারটিতে ক্লিন শিট রেখেছিলেন কুর্তোয়া। টুর্নামেন্টে মোট ২৭ টি অনবদ্য সেভ করে সোনালি দস্তানা মুষ্ঠিবদ্ধ করে ফেললেন তিনি।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!