• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হেলসিংকিতে মুখোমুখি ট্রাম্প-পুতিন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুলাই ১৬, ২০১৮, ০৮:০৭ পিএম
হেলসিংকিতে মুখোমুখি ট্রাম্প-পুতিন

ঢাকা: ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে বৈঠকে বসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

সোমবার (১৬ জুলাই) করমর্দনের মাধ্যমে শুরু হয় দুই নেতার সাক্ষাৎ। সাক্ষাতের শুরুতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সফলভাবে বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের জন্য পুতিনকে শুভেচ্ছা জানান।

ট্রাম্প বলেন, সত্যিই চমৎকার একটি বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য আমি আপনাকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। এটি অন্যতম সেরা আয়োজনগুলোর একটি ছিল।

বৈঠকে তারা বাণিজ্য, সেনাবাহিনী ইস্যু, চীনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

তিনি আরো বলেন, আমাদের মধ্যে সম্পর্ক খুব বেশি ভালো নয়। যদিও গত দুই বছর ধরে সম্পর্কের দূরত্ব কমছে। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হলে সেটা ভালো হবে, এটা খারাপ কিছু না।

নিজেদের পরমাণু অস্ত্রের বিষয়েও তারা একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ওদিকে, পুতিন বলেন, বিশিষ্ট প্রেসিডেন্ট, ফিনল্যান্ডের হেলসিংকিতে আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আমি আনন্দিত। যদিও আমাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ আছে...আমরা ফোনে কথা বলেছি এবং কয়েকটি আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে আমাদের বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে। তবে অবশ্যই নিজেদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত কথা বলার এবং বিশ্বের সমস্যাপূর্ণ অনেকগুলো এলাকা নিয়ে আলোচনার এটাই সময়।

পূর্ব নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ পরে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক শুরু হয়েছে বলে জানায় বিবিসি।

পরিকল্পিত সূচি অনুযায়ী, দুই নেতা প্রথমে অন্তত এক ঘণ্টা নিজেরা কথা বলবেন। এই সময়ে দুইজন দোভাষী ছাড়া অন্য কেউ তাদের সঙ্গে থাকবেন না।

তারপর দুই নেতা একসঙ্গে দুপুরের খাবার খাবেন। অন্যান্য কূটনীতিকদের তাদের সঙ্গে ভোজে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।

বৈঠক শুরুর আড়াই ঘণ্টা পর একটি সংবাদ সম্মেলন হবে এবং  সেখান থেকে ট্রাম্প হেলসিংকি বিমানবন্দরে চলে যাবেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ শীর্ষ বৈঠক নিয়ে নিজ দেশে রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়তে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, অপরদিকে এ বৈঠক রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের জন্য একটি রাজনৈতিক বিজয়।

এ শীর্ষ বৈঠকে দুই নেতার মধ্যে উষ্ণ কথাবার্তা ছাড়া বড় ধরনের কোনো সাফল্য অর্জিত হবে না বলেই মনে করছে উভয়পক্ষ। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক মেরামত শুরু করার বিষয়ে সমঝোতা হতে পারে, পাশাপাশি পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও সিরিয়ার মতো কয়েকটি ইস্যু নিয়ে সংলাপ শুরু করার বিষয়ে একটি চুক্তি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পরস্পরের নেতৃত্বগুণের প্রশংসাকারী এই দুই নেতা তাদের দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম ফের পূর্ণদ্যোমে শুরু করার এবং জব্দ করা কূটনৈতিক সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়েও সম্মত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ব্রিটেনে রাশিয়ার এক সাবেক গোয়েন্দাকে বিষাক্ত রাসায়নিক প্রয়োগে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ডেমোক্রেট সিনেটরা এই বৈঠক বাতিলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, এই বৈঠক যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। সবশেষ মুখোমুখি হলেন এই দুই প্রভাবশালী নেতা।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!