• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

হেলিকপ্টারে কনের বাড়িতে বর, ২০ মণ চালের রান্না


বগুড়া প্রতিনিধি ডিসেম্বর ২২, ২০১৭, ০৮:২৮ পিএম
হেলিকপ্টারে কনের বাড়িতে বর, ২০ মণ চালের রান্না

বগুড়া: সোনাতলা সদর ইউনিয়নের কাবিলপুরস্থ গ্রামে বিয়ে। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা। বর শামসুল আরেফীন খাঁনহেলিকপ্টারে করে সোনাতলা মডেল উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ মাঠে অবতরণ করেন। সেখান থেকে বরকে হাতিতে চেপে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে শ্বশুরবাড়ি কাবিলপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। হাজারো উৎসুক জনতা রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে বরের হাতিতে চড়ে বিয়ে করতে যাওয়ার দৃশ্য উপভোগ করেন।

জানা গেছে, কন্যা সোনাতলার সদর ইউনিয়নের জাকির হোসেন বেলালের বড় মেয়ে সফটওয়্যার প্রকৌশলী ফারজানা আক্তার স্নিগ্ধা। আর  বর চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার খাঁনবাড়ি পূর্ব নাউরী এলাকার প্রবাসী শায়েস্তা খাঁনের ছেলে সফটওয়্যার প্রকৌশলী শামসুল আরেফীন খাঁন।

বর হাতি থেকে নেমে স্থানীয় মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন। এরপর বিয়ের আসরে বসেন। বিয়েতে কাবিন ধার্য করা হয় ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রায় ৪ হাজার লোকজনকে আমন্ত্রণ করা হয়।

অনুষ্ঠানের বাবুর্চি মুঞ্জ রহমান জানায়, ১৮ থেকে ২০ মণ চাল, চারটি গরু, আটটি খাসি জবাই করে রান্না করা হয়। এছাড়াও সাড়ে তিন হাজার মুরগির রোস্ট করা হয়েছে।

খাবারের আইটেম ছিল, বিরিয়ানি, কাচ্চি বিরিয়ানি, মোরগের রোস্ট, খাসির মাংস, গরুর মাংস, সালাদ, দই, বোরহানি, মিষ্টি, সফট ড্রিংকস।
কনের বাবা জাকির হোসেন বেলাল জানান, তার চার কন্যার মধ্যে ফারহানা আক্তার স্নিগ্ধা সবার বড়। সে সফটওয়্যার প্রকৌশলী। নিজের শখ ছিল মেয়ের জামাইকে হাতিতে করে বাড়ি নিয়ে আসবেন। এ জন্য তিনি হাতির আয়োজন করেন।

বর শামসুল আরেফিন খান জানান, তিনি ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার পিতা জাপান প্রবাসী। হেলিকপ্টারে চেপে আসতে তার ব্যয় হয়েছে আড়াই লাখ টাকা।

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেলা ৪টায় বর-কনে, বরের মা ও বোন আবারও হেলিকপ্টারে চেপে সোনাতলা মডেল উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ থেকে রওনা দেন। এসময় কয়েক হাজার উৎসুক জনতা ওই প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!