• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

হ্যাকারদের প্রথম টার্গেট ব্যাংক কর্মী


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জুলাই ২৩, ২০১৭, ০৮:১৯ পিএম
হ্যাকারদের প্রথম টার্গেট ব্যাংক কর্মী

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হ্যাকারদের প্রথম টার্গেট হচ্ছে ব্যাংক ও আর্থিক খাত। এজন্য ব্যাংকিং খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে সাইবার নিরাপত্তা দিতে। পাশাপাশি ব্যাংক কর্মীদেরও সাইবার ঝুঁকি মোকাবেলায় সক্ষম করে গড়ে তুলতে হবে।

‘ব্যাংকের তথ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি ও প্রস্তুতি’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এক কথা বলেন তিনি। রোববার(২৩ জুলাই) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) ও ট্রান্স আইটি সলিউশন যৌথভাবে কর্মশালাটির আয়োজন করে। 

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রুবাইয়াত আকবর। উপস্থাপিত তথ্যে দেখা যায়, ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি সাইবার ঝুঁকিতে আছে ব্যাংক কর্মীরা। কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে হ্যাকাররা প্রথমেই টার্গেট করে ব্যাংকের সাধারণ কর্মীদের। অনলাইনের মাধ্যমে তাদেরকে ভুল তথ্য দিয়ে ম্যানেজ করে নেয়া হয়। তাদের ভুলের ফাঁদে ফেলে গ্রাহকদের তথ্য চুরি করে পেমেন্ট সিস্টেমে হামলা চালায় হ্যাকাররা।

এজন্য ব্যাংক কর্মীদের এ বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তাদেরকেও সক্ষম করে তুলতে হবে। কর্মীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে বলে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়।

গভর্নর ফজলে কবির বলেন, বর্তমানে পুরো বিশ্বের ব্যাংকিং ব্যবসাকে এগিয়ে নিচ্ছে আইসিটি। তবে ব্যাংকিং খাতে আইসিটি প্রসারের পাশাপাশি সাইবার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই এ খাতের সুরক্ষায় সাইবার সিকিউরিটি দিতে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। এই বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে। রেগুলেটরি বডি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক সাইবার সিকিউরিটির বিষয়ে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এসময় তিনি সাইবার নিরাপত্তা-ঝুঁকি মোকাবলায় দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।

কর্মশালায় উল্লেখ করা হয়, প্রতি ৩৯ সেকেন্ডে বিশ্বের কোনও না কোনও ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে একবার সাইবার হামলা চালাচ্ছে হ্যাকাররা। শুধু র‌্যানসমওয়্যার ভাইরাসের কারণেই ২০১৬ সালে ক্ষতি হয়েছে ১ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সাল নাগাদ সাইবার অপরাধজনিত ক্ষতি দাঁড়াতে পারে ৬ ট্রিলিয়ন ডলার বা ৬ লাখ কোটি ডলারে। 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালে সাইবার ঝুঁকি মোকাবলা করতে ব্যাংকের সর্বস্তরে সচেতন করার কোনও বিকল্প নেই। হ্যাকারদের আক্রমণের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে, আর্থিক ও ব্যাংকিং খাত। বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। সেক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোতে কর্মরত সবাইকে সাইবার আক্রমণের ধরণ সম্পর্কে ধারণা লাভ ও এর প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুত থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

কর্মশালায় অংশ নিয়ে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) আনিস এ খান বলেন, ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। ব্যাংকারদের সচেতনতা বাড়ানো এবং প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিতে হবে।

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) আবুল কাশেম মো. শিরিন বলেন, মাঝারি মাপের প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে অনেক ব্যাংকের গ্রাহকসেবা বন্ধ হয়ে যাবে। আর বড় ধরনের বিপর্যয় হলে কোনও ব্যাংকেরই সেবা দেয়া সম্ভব নয়। কারণ ডাটা সেন্টারের যে ধরনের নিরাপত্তা দরকার তা ব্যাংকগুলোর নেই।

বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/তালেব

Wordbridge School
Link copied!