হ্যাটট্রিকম্যান তাসকিনের মিশ্র অনুভূতি

ঢাকা : হ্যাটট্রিক যে কোনও বোলারের কাছেই পরম কাঙ্খিত। কিন্তু তাসকিন আহমেদের কাছে এটা মিশ্র অনুভূতি দিচ্ছে। তিনি হ্যাটট্রিক করার পরপরই ডাম্বুলার রণগিরি স্টেডিয়ামে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে। সেই বৃষ্টির তোড়ে ভেসে গেল ম্যাচটাই। পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ওয়ানডেটি।

তাই হ্যাটট্রিক করেও এক ধরণের অতৃপ্তি রয়েই গেছে তাসকিনের। ডাম্বুলা থেকে কলম্বো রওনা হওয়ার আগে তিনি বলেন,‘ হ্যাটট্রিক করতে পেরে ভালো লাগছে। তবে উৎসব করার মত না। বৃষ্টিতে ম্যাচ হয়নি। ম্যাচটি শেষ হলে এবং যদি জিততে পারতাম তাহলে ভালো লাগাটা পূর্ণতা পেত। আমরা আসলে সিরিজ জিততে চাই। এই ম্যাচ জিততে পারলে সিরিজ জয় নিশ্চিত হত। তখন হ্যাটট্রিকের আনন্দটা অন্যরকম হত।’

তারপরও ২৮ মার্চ দিনটি তাসকিন আহমেদের ক্যারিয়ারে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। কারণ হ্যাটট্রিক অর্জন যে কোনও বোলারের কাছেই বড় পাওয়া। এদিন সেটিই পেয়ে গেছেন বাংলাদেশের গতি তারকা। একদম শেষ ওভারে তার বলে একে একে ফিরে গেছেন আসেলে গুরারত্নে, সুরঙ্গা লাকমল ও নুয়ান প্রদীপ।

রঙিন পোশাকে বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন পঞ্চম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব দেখালেন। তার আগে আরও চারজন এই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। সর্বপ্রথম এই কীর্তি গড়েছিলেন শাহাদাত হোসেন ২০০৬ সালের ২ আগষ্ট। তিনি স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে প্রথম হ্যাটট্রিক করেন।

পরের হ্যাটট্রিক করতে বাংলাদেশের চার বছর লেগে যায়। ২০১০ সালের ৩ ডিসেম্বর এটি করেন বাঁ-হাতি অফ স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। তিনি মিরপুরে হ্যাটট্রিক করেন সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই।

বাংলাদেশের পক্ষে তৃতীয় হ্যাটট্রিক করেন রুবেল হোসেন। তিনি এখন শ্রীলঙ্কা সফরে দলের সঙ্গেই রয়েছেন। রুবেল হ্যাটট্রিকটি করেছিলেন ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, মিরপুরে।

তাসকিনের আগের হ্যাটট্রিকারির নাম তাইজুল ইসলাম। অন্যদের চেয়ে তার হ্যাটট্রিকটি রেকর্ডের পাতায় অন্যরকম জায়গা দখল করে আছে। ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তাইজুল। সেটি ছিল আবার তার অভিষেক ম্যাচও। ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে অভিষেকে কোনও বোলার হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব দেখাতে পারেননি। যেটা পেরেছিলেন তাইজুল।

সোনালীনিউজ/এমটিআই