• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

১১ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় মুন্সীগঞ্জ


মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি ডিসেম্বর ১১, ২০১৬, ০২:৫৬ পিএম
১১ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় মুন্সীগঞ্জ

মুন্সীগঞ্জ : জেলার মুক্তিকামী মানুষের দুর্বার গতির আক্রমণের ফলে ৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর পুরোপুরি শত্রু মুক্ত হয় মুন্সীগঞ্জ জেলাটি। তবে এই জেলাকে মুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি হাজার হাজার সাধারণ মানুষদের জীবন খোয়া যায় পাকহানাদার বাহিনীর নিষ্ঠুর ও অমানুষিক নির্যাতনে। সেই সময় সরকারি হরগঙ্গা কলেজকে টর্চার সেল বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের স্বজনদের ধরে নিয়ে এসে বর্বরোচিত অত্যাচার চালাতো পাকিস্তানি হায়নার দল। ১৯৭১’র ডিসেন্বরের প্রথম থেকে ২য় সপ্তাহ জুড়ে গণহত্যায় লিপ্ত হয়ে গজারিয়ায় ৩৬০ জন, কেওয়ারে ১৭ জন এবং আব্দুল্লাহপুর পালের বাড়িতে ১৪ জনসহ বিভিন্ন জায়গায় হত্যাযজ্ঞ, মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের স্বজনদের ঘর বাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ অত্যাচারের নেশায় মেতে ওঠে হানাদাররা।

ফলে ৯ ও ১০ ডিসেম্বর এই দুইদিন মুক্তিকামী দামাল ছেলেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঝাঁপিয়ে পরে শত্রু হটাতে। ঐক্যবদ্ধ সেই আক্রমণের কাছে পরাজিত হয়ে ১০ ডিসেম্বর রাতে ধলেশ্বরী নদী পাড়ি দিয়ে হটে যেতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি বাহিনী, হানাদার মুক্ত হয় মুন্সীগঞ্জ।

এ উপলক্ষ্যে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড ব্যাপক কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি জুবলী রোড হয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমি ঘুরে প্রধান সড়ক ছবিঘর রোড দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড প্রাঙ্গণে সড়কে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন মাননীয় সচিব এম এ হান্নান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মূখ্য আলোচক হিসেবে থাকবেন ইমদাদুল হক মিলন, সভায় সভাপতিত্ব করবেন মুন্সীগঞ্জ জেলা ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার আনিস উজ্জামান আনিস।

এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিদের মধ্যে রয়েছেন, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!