• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

১২ জেলায় আর্চারির প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচী


ক্রীড়া প্রতিবেদক এপ্রিল ২১, ২০১৮, ০৪:৪১ পিএম
১২ জেলায় আর্চারির প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচী

ঢাকা: ২০২০ সালে টোকিও অলিম্পিকে পদক জয়ের লক্ষ্য নিয়ে তীরন্দাজদের প্রস্তুত করছে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন। সিটি গ্রুপের ব্রান্ড তীর-এর পৃষ্ঠপোষকতায় ‌‌‘তীর গো ফর গোল্ড’ ভিশনকে সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে আর্চারি। এরইমধ্যে নিয়োগ দেয়া হয়েছে জার্মান কোচ ফ্রেডরিক মার্টিনকে। ‘হাইপ্রোফাইল’ এই কোচের অধীনে এরই মধ্যে দারুণ উন্নতি করেছেন আর্চাররা।

গত মার্চে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে তার প্রমাণ মিলেছে। দক্ষিণ এশিয়ার তীরন্দাজদের এই প্রতিয়োগিতায় প্রথমবারের মতো পদক জিতেছে বাংলাদেশের আর্চাররা। ১০ ইভেন্টের মধ্যে ৬টি স্বর্ণ, ৫টি রৌপ্য ও ১টি ব্রোঞ্জ মিলিয়ে ১২টি পদক জিতে দক্ষিণ এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা হয়েছে বাংলাদেশ।  

তারই ধারাবাহিকতায় এবার তৃণমুল থেকে তরুন তীরন্দাজদের খুঁজে বের করতে শুরু হতে যাচ্ছে ‘তীর আর্চারি প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচী-২০১৮’। ‌‌‘তীর গো ফর গোল্ড’ প্রজেক্টের আওতায় পাঁচ বছর মেয়াদী এই প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচীর প্রথম ধাপে ১২টি জেলায় শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন।

এ পর্যায়ে ফরিদপুর, চুয়াডাঙ্গা, জয়পুরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, রাজশাহী, নড়াইল, বান্দরবান, বাগেরহাট, চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জ ও ঢাকা জেলায় হবে এই কর্মসূচী। পর্যায়ক্রমে দেশের ৬৪ জেলাকেই এই প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচির আওতায় আনবে ফেডারেশন।

প্রাথমিক পর্যায়ে এ প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি পরিচালনার জন্য আর্চারি ফেডারেশনকে ৪৫ লাখ টাকা দিচ্ছে সিটি গ্রুপ। প্রতি জেলা পাবে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করে। জেলার বাছাই কার্যক্রম হবে জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে। বাছাইয়ের জন্য কোচ পাঠাবে ফেডারেশন।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে শনিবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের ডাচ্-বাংলা মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় কর্মসূচী  সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল।

সূচনা বক্তব্যে চপল বলেন, ‘জেলা পর্যায়ে বাছাই কৃতদের নিয়ে ৮ দিনের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প করা হবে। প্রাথমিক বাছাইয়ের জন্য নেয়া হবে ৫০ জন, পরে সেখান থেকে সংখ্যা কমিয়ে করা হবে ২০। তাদের জেলা পর্যায়েই ৮ দিন প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্কুল পড়ুয়া ১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সীদের প্রাধান্য দেয়া হবে।’

প্রতি জেলা থেকে চূড়ান্তভাবে ২ জন করে আর্চার নেয়া হবে। ১২ জেলার ২৪ আর্চার নিয়ে ২২ মে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে আবাসিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শুরু হবে। সেখানে ৩ ধাপে ৬০ দিন প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সোয়েব মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান অলিম্পিকে স্বর্ণ জয়ের লক্ষ্য প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আসলে লক্ষ্যটা বড় থাকলে ভালো লাগে। আমরা যদি বলতাম, অলিম্পিক ব্রোঞ্জ জিততে চাই, সেটা কী শুনতে ভালো লাগতো? তাই আমরা লক্ষ্যটা বড় রেখেছি। এই প্রতিভা অন্বেষণই আমাদের প্রধান কর্মসূচি। আগামীতে আরো জেলা আসবে এ কর্মসূচির আওতায়।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মো. মাহফুজুর রহমান সিদ্দিকী, প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক মো. আনিসুর রহমান দিপু ও নির্বাহী সদস্য মো. ফারুক ঢালী।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!