ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের ভারতীয় তালিকায় এবং লাল মুক্তি বার্তায় নাম থাকা স্বত্বেও ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত যাদের বয়স ১৩ বছরের নিচে ছিল তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না। বাংলাদেশ সরকারের এমন গেজেট কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদনকারী খন্দকার শহিদুল ইসলামের ক্ষেত্রে গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন আদালত। এছাড়া তাকে দেয়া সরকারের পৃথক চিঠির কার্যকারিতাও ৬ মাসের স্থগিত করেন অদালত।
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, মহা হিসাব নিয়ন্ত্রক ও নিয়ন্ত্রকসহ মোট সাতজনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল করিম ও ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
পরে আদালত থেকে বেরিয়ে ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, রিট আবেদনকারীর নাম ভারতীয় তালিকায় এবং লাল মুক্তি বার্তায় নাম থাকা স্বত্বেও তাকে চিঠি দেয়া হয়েছে যে, আপনার বয়স ১৩ বছর পূর্ণ না হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি তাকে চিঠিটি দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত যাদের বয়স ১৩ বছরের নিচে তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না মর্মে গেজেট প্রকাশ করে।
শহিদুল ইসলাম ওই চিঠি এবং গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন খন্দকার শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদুল্লাহ।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর
আপনার মতামত লিখুন :