• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

১৪ দেশকে হারিয়ে জয়ের রেকর্ড গড়লেন আলেকজান্ডার বো


বিনোদন প্রতিবেদক জুন ৫, ২০১৮, ১০:৫৯ এএম
১৪ দেশকে হারিয়ে জয়ের রেকর্ড গড়লেন আলেকজান্ডার বো

ঢাকা:  বিশ্বের ১৪ দেশকে হারিয়ে কারাতে জয়ের রেকর্ড গড়লে নায়ক আলেকজান্ডার বো। ১১ তম দক্ষিণ কোরিয়া ওপেন এবং ৩০ তম বুসান মেয়রস কাপ কারাতে প্রতিযোগিতা-২০১৮ তে অংশ নিয়েছিলো বাংলাদেশ।

স্বাগতিক দক্ষিণ কোরিয়াসহ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বাংলাদেশ, জাপান, নাইরেজিরা, সেনেগাল, রাশিয়া, উজবেকিস্তান, চীন, ম্যাকাও, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইনসহ মোট ১৪ টি দেশ।

প্রতিটি দেশের সেরা খেলোয়াড়রা সেখানে অংশ নেন। ওইসব দেশের প্রতিযোগীদের হারিয়ে এই প্রথম সেখানে লালসবুজের পতাকা উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে বাংলাদেশ। যার প্রতিনিধিত্ব করেছেন চিত্রনায়ক আলেকজান্ডার বো।

চ্যাম্পিয়ন হিসেবে তাকে দেয়া হয়েছে স্বর্ণের মেডেল। দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহর থেকে ৩জুন রাতে দারুণ এই খুশির খবর জানান আলেকজান্ডার বো।

তিনি বলেন, গত ১ ও ২ জুন সবগুলো রাউন্ডের খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বুসান ইনডোর স্টেডিয়ামে। প্রথমে ফিলিপাইন, ম্যাকাও, রাশিয়াকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করি। এরপর ফাইনাল রাউন্ডে পাকিস্তানকে ছয় পয়েন্টে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হই। এই প্রথম বাংলাদেশ সেখানে চ্যাম্পিয়ন হলো।

তিনি বলেন, গত মাসে আমি শুটিং করতে গিয়ে ডান পায়ের গোড়ালি, ডান হাতের কনুই ও কাঁধে মারাত্মক চোট পেয়েছিলাম। খেলায় অংশ নেয়ার আগে এটা ছিল আমার ভয়ের কারণ! এরজন্য আমি ভালো খেলতে পারবো কিনা সেটা নিয়ে ছিলো সংশয়। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। আমি ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে এবার সেখানে অংশ নিয়েছেন সুপরিচিত কারাতে খেলোয়াড় পারভেজ। তিনি ৬৭ প্লাস ওয়েটে ‘কারাতে’ খেলে পেয়েছেন ব্রোঞ্জ।

গত বছর অক্টোবরে ‘কোরিয়ান ইউনিভার্সিটি স্পোর্টস ফেস্টিভাল’-এ অংশ নিয়েছিলেন আলেকজান্ডার বো। সেবার স্বাগতিক কোরিয়ার প্রতিযোগীর সঙ্গে লড়ে ফাইনাল রাউন্ডে মাত্র এক পয়েন্টের জন্য হেরে যান। এরপর এই চিত্রনায়ককে খুশি থাকতে হয় রৌপ্য পদক নিয়ে।

তবে এবারই প্রথমবার বুসান মেয়রস কাপ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমবারেই বিজয়ী। সেখানে অংশ নিতে আলেকজান্ডার বো ৩০ মে ঢাকা ত্যাগ করেন। প্রতিযোগীতায় ফাইটিং ‘কুমিতে’ ৮৪ প্লাস ওয়েট বেটার ক্যাটাগরিতে জয়ী হয়েছেন ‘ম্যাডাম ফুলি’ খ্যাত এই অভিনেতা।

এই নায়কের ভাষায়, আমি জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতায় ১৯৯২ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছি টানা ছয়বার। প্রতিবারই গোল্ড মেডেল পেয়েছি। এ ছাড়া সাউথ এশিয়ান কারাতে চ্যাম্পিয়ন ১৯৯৭ সালে নির্বাচিত হয়েছি। যেটা দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে রাশিয়াতে ইউরোপিয়ান কারাতে প্রযোগিতায় অংশ নিয়ে রানারআপ হয়েছিলাম। যোগ করে বলেন, মাঝে কয়েকবছর বিরতি ছিল। কিন্তু এখন নিয়মিত খেলাধুলার সঙ্গে আছি। বর্তমানে বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের নির্বাচিত সদস্য (কাউন্সিল মুন্সিগঞ্জ জেলা)। আগামীতেও থাকবো। আমি মনে করি, দেশের জন্য কোনো সম্মান বয়ে আনতে পারার মতো তৃপ্তি কিছুতে নেই।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আলেকজান্ডার বো বলেন, প্রথমে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি সৃষ্টিকর্তার কাছে। এরপর আমার মা, আমার ওস্তাদ রুবেল ভাই (চিত্রনায়ক রুবেল) যিনি আমাকে কারাতে শিখিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাকে আন্তর্জাতিকভাবে দেশের বাইরে খেলার সুযোগ দিয়েছেন সেন্টু ভাই, জুয়েল ভাই। তারা অনেক বড়মাপের মানুষ। সবার কাছে কৃতজ্ঞতা। তারা মাথার উপর ছায়া হয়ে ছিলেন বলেই আমি আজ সাফল্য পেয়েছি। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই।

দক্ষিণ কোরিয়া থেকে গতকাল সোমবার জাপান গিয়েছেন আলেকজান্ডার বো। সেখানে ব্যক্তিগত কাজ শেষে তিনি ১৩ জুন বাংলাদেশে ফিরবেন বলে জানান। ঈদের পর অংশ নেবেন বদিউল আলম খোকন পরিচালিত ‘অন্ধকার জগৎ’ ছবিতে। এছাড়া এই নায়ক অভিনয় করছেন আব্বাস, পদ্মার প্রেম, অফিসার রিটার্নস ইত্যাদি ছবিগুলোতে।

সোনালীনিউজ/বিএইচ

Wordbridge School
Link copied!