• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার যড়যন্ত্র করা হয়


ঝালকাঠি প্রতিনিধি আগস্ট ১৯, ২০১৭, ০৪:২৫ পিএম
১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার যড়যন্ত্র করা হয়

ঝালকাঠি: শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল শুধুমাত্র তার পরিবারকে রাস্ট্র পরিচালনা থেকে দূরে রাখার জন্য নয়, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। এ দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্নকে ধুলিস্যাৎ করার জন্য। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকালে ঝালকাঠি সাধনার মোড়ে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, এই দেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সে জন্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে কাদের ইশারায় হত্যা করা হয়েছিল তা পরিস্কার বোঝা যায় বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খন্দকার মোস্তাকের রাস্ট্রপতি হওয়া আর জিয়াউর রহমানের সেনা প্রধান পদে পদোন্নতি পাওয়ার মধ্য দিয়ে। বিষয়টি জাতির সামনে আরো পরিস্কার হয় বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে সরকারি চাকরি দেওয়ার মধ্য দিয়ে।

যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল সেই চক্রই এখন আবার শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। ইতিপূর্বে ১৯ বার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার যড়যন্ত্র করা হয়েছিল। ২০০৪ সালে গ্রেনেড দিয়ে তাকে হত্যার চেস্টা করেছিল তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট। কিন্তু আল্লাহর রহমতে শেখ হাসিনা গ্রেনেড হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে গেছেন।

সকল যড়যন্ত্র মোকাবেলা করে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন সরকার গঠন করা হল এবং দেশের উন্নয়নে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হল ঠিক তখনই আবার যড়যন্ত্র শুরু হল। সেই যড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিন মাস সাড়া দেশে খালেদা জিয়ার নির্দেশে জ্বালাও-পোড়াও শুরু হল। বাসে পেট্রল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেস্টা করা হল।

২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়রির পর গত সাড়ে তিন বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন নানা প্রকল্প নিয়ে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে যাচ্ছেন ঠিক তখনই আবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যার যড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কিন্তু কেন শেখ হাসিনাকে বার বার হত্যার চেস্টা করা হয়, কারণ শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপনকে বাস্তবায়ন করতে চান। শেখ হাসিনা ১৬ কোটি মানুষের মুখে কম মূল্যে অন্ন তুলে দিতে চান, তাই শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে শোক সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওযামী লীগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোবারক হোসেন মল্লিক, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুলতান হোসেন খান, পৌর মেয়র মো.লিয়াকত আলী তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তরুণ কর্মকার, সদর উপজেলা আওযামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা যুব লীগের যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল করিম জাকির, মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ইসরাত জাহান সোনালী, যুব মহিলা লীগের সভাপতি লুৎফুন্নার লুনা ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শফিকুর রহমান।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!