• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘২০১৯ সালের জুনে চালু হবে পদ্মাসেতু’


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৮, ০৫:১৮ পিএম
‘২০১৯ সালের জুনে চালু হবে পদ্মাসেতু’

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানালেন, আগামী বছরের জুন নাগাদ আমরা অবশ্যই পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন করতে পারবো। জুন নাগাদ যান চলাচলের জন্য আমরা খুলে দিতে পারবো পদ্মাসেতু।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি)  জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সম্মেলন কক্ষে ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৮’-এ অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট সম্মাননা সনদ ও পুরস্কার প্রদান করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সচিব, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

অর্থমন্ত্রীর ভাষায়, খুশির খবর হলো নিজস্ব অর্থায়নে এটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। আমার ধারণা, আগামী বছরের জুন নাগাদ আমরা অবশ্যই পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন করতে পারবো। আমাদের ওবায়দুল কাদের চেয়েছিলেন, যেন এর কাজ ডিসেম্বরেই শেষ করতে পারেন। কিন্তু সেটা সম্ভব হবে না। তবে জুন নাগাদ যান চলাচলের জন্য আমরা খুলে দিতে পারবো।

এসময় বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট বি জুয়েলিকে একজন ভয়ঙ্কর ধরনের বদমাইশ বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি আরও বলেন, ওই লোকটা (জুয়েলিক) একটা অপদার্থ, ভয়ঙ্কর ধরনের বদমাইশ ও অত্যন্ত বাজে লোক। তার ষড়যন্ত্রের কারণেই পদ্মা সেতুর অর্থায়ন আটকে যায়। যা পরবর্তীতে প্রমাণিত হয়েছে।

মুহিত বলেন, বিশ্ব ব্যাংককের ওই প্রেসিডেন্টের কারণেই আমরা চারজন মানুষ অপদস্থ হয়েছিলাম। মশিউর রহমানকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। আবুল হোসেনকেও সরিয়ে দেয়া হয়। আমি বার বার বলেছিলাম, এটা ষড়যন্ত্র। কিন্তু সেটা তখন আমলে নেয়া হয়নি।

ওই সময় একমাত্র প্রধানমন্ত্রী প্রথম বুঝতে পেরেছিলেন। তিনিই প্রথম বললেন, এটা ষড়যন্ত্র, বিশ্ব ব্যাংকের কাছে থেকে অর্থ নেয়া বন্ধ করে দেন। আমি তখন রাজি হয়নি। আমার চিন্তা ছিল এই অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করতেই হবে। একই সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে হবে।

তখন আমরা বললাম, এটা বাতিল হোক। আমরা নিজেরাই করে ফেলবো। তখনই পদ্মা সেতু নিজ অর্থায়নে করার একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। এটা নিয়ে এতো ঝামেলা হয়েছে, আর কারও কাছে সহায়তা চাইলাম না।

ওই সময়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া সেতু সচিব ছিলেন। তিনি বলেন, ওই সময় এখানে উপস্থিত আমরা চারজনই ভিকটিম ছিলাম। পরবর্তীতে সেটা প্রমাণিত হয়েছে। বিশেষ করে কানাডার আদালতের সেই রায়ে বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছে।

উল্লেখ, রবার্ট বি জুয়েলিক একজন আমেরিকান নাগরিক। যিনি ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। তার সময়ই বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুর ১২০ মিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ ঋণ চুক্তি আটকে যায়। পরবর্তীতে বিশ্ব ব্যাংকের টাকা না নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু করার ঘোষণা দেয় সরকার।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!